Thursday, June 28, 2012

ইলেক্ট্রনিক শপের সহজ পাঠ। পর্ব-১: বিট ও বাইট কাজ করে যেভাবে

আমরা সবাই কিছু বিষয় সব সময় বলে থাকি; যেমন- ৩২ বিট পেন্টিয়াম প্রসেসর, ২ গিগা বাইট রেম, ৫০০ গিগা বাইট হার্ডডিস্ক, ৫ গিগা বাইট প্যাকেজ ইত্যাদি। বাইনারি ডিজিটের সর্বত্র ব্যবহারের কারণে ইলেক্ট্রনিক শপের সহজ পাঠ তাই বাইনারি ডিজিট ০ ও ১ থেকেই শুরু করছি।

বাইনারিতে যাওয়ার আগে একে ডেসিমাল নম্বরের সাথে তুলনা করলে বুঝতে সুবিধা হয়। ১০ ভিত্তিক একটি ডেসিমাল সংখ্যা ৬,৩৫৭ নিই। সংখ্যাটিকে প্রকাশ করা যায় এভাবে -

(৬ * ১০০০) + (৩ * ১০০) + (৫ * ১০) + (৭ * ১) = ৬০০০ + ৩০০ + ৫০ + ৭ = ৬৩৫৭

পাওয়ার অব ১০ হিসেবে "^" এই প্রতিক ব্যবহার করে লেখা যায় -

(৬ * ১০^৩) + (৩ * ১০^২) + (৫ * ১০^১) + (৭ * ১০^০) = ৬০০০ + ৩০০ + ৫০ + ৭ = ৬৩৫৭

এখানে যেমন ১০ কে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে, সেরকমভাবে ২, ৩, ৪, ৫, ৮, ১২, ১৬ কেও ভিত্তি হিসেবে নিয়ে ভিন্নভাবে গণনা করা হয়। আর ২ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতিটিই আমরা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হিসেবে জানি।

ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে ২ ভিত্তিক বাইনারি সংখ্যাকে কম্পিউটারে ব্যবহারের সুবিধার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ডেসিমালের পরিবর্তে। bit হচ্ছে Binary digIT এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ডেসিমালে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত যে কোন সম্ভাব্য সংখ্যা হতে পারে এবং বাইনারিতে ০ ও ১ সংখ্যা দুটিই সম্ভাব্য সংখ্যা। তাহলে বাইনারি সংখ্যা ১০১১ এর অর্থ কি? ২ কে বেস বা ভিত্তি ধরে একে ডেসিমালে পরিবর্তন করতে পারি এভাবে -

(১ * ২^৩) + (০ * ২^২) + (১ * ২^১) + (১ * ২^০) = ৮ + ০ + ২ + ১ = ১১

এরকম ৮ বিটের একটি বাইনারি সংখ্যাকে বলা হয় বাইট। যেমন-

২৫৪ = ১১১১১১১০

২৫৫ = ১১১১১১১১

প্রশ্ন আসতে পারে ৮টি বিট নিয়েই কেন বাইট হয়? উত্তরটা ১২টি ডিমে যেমন এক ডজন হয় সেরকম, এরোর দূর করার জন্যই সুবিধাজনক এই হিসাব।

ASCII ক্যারেকটার সেটে ০ এবং ১২৭ এর ভেতর বাইনারি সংখ্যাকে নির্দিষ্ট ক্যারেকটার দিয়ে বুঝানো হয়। নিচের ছবিতে বিভিন্ন বেসের সংখ্যা পদ্ধতির কনভার্সন দেখানো হল-

View this link

যখন আমরা অনেক সংখ্যক বাইট নিয়ে কথা বলি তখন আমরা শুধু আগের অংশটি নিয়ে থাকি। যেমন- কিলো, মেগা, গিগা ইত্যাদি বলে থাকি কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট থেকে অথবা কেবি-KB, এমবি-MB ও জিবি-GB এভাবে বলি। নিচে বাইনারি মালটিপ্লায়ারগুলো দেখে নেই -

নাম পরিমাণ

Kilo - K - ২^১০ = ১,০২৪ বাইট

Mega - M - ২^২০ =১,০৪৮,৫৭৬ বাইট

Giga - G - ২^৩০ = ১,০৭৩,৭৪১,৮২৪ বাইট

Tera - T - ২^৪০ = ১,০৯৯,৫১১,৬২৭,৭৭৬ বাইট

Peta - P - ২^৫০ = ১,১২৫,৮৯৯,৯০৬,৮৪২,৬২৪ বাইট

Exa - E - ২^৬০ = ১,১৫২,৯২১,৫০৪,৬০৬,৮৪৬,৯৭৬ বাইট

Zetta - Z - ২^৭০ = ১,১৮০,৫৯১,৬২০,৭১৭,৪১১,৩০৩,৪২৪ বাইট

Yotta - Y - ২^৮০ = ১,২০৮,৯২৫,৮১৯,৬১৪,৬২৯,১৭৪,৭০৬,১৭৬ বাইট

পরের পর্বে অন্য কিছু নিয়ে পর্ব আকারে চলবে............।