Friday, June 29, 2012

▓▒░ মানুষের জীবনের কিছু অবাক করার মত ব্যাপার ░▒▓

. আপনি যখন একজন ভিখারিকে ২০ টাকার একটা নোট দেন তখন মনে হয় অনেক বেশি দিয়ে ফেললাম।। কিন্তু, যখন একটি বড় হোটেলে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে খেটে যান তখন টিপস হিসেবে ২০-৫০ টাকা দেয়া কোনো ব্যাপারই না!!

. - মিনিটের জন্য আল্লাহকে স্মরণ করতে গেলেই অনেক তাড়াহুড়া শুরু হয়ে যায়, যেনো সময়ই কাটতে চায় না।। কিন্তু, পছন্দের একটি সিনেমা দেখতে যান, দেখবেন আরামে ঘণ্ট চলে গেছে।। টেরও পাননি!!

. পুরোদিন খাটাখাটনি করার পরও আমাদের মধ্যে জিমে যাবার মত শক্তি থাকে।। কিন্তু, মা-বাবা ছোট খাটো কোনও ফরমায়েশ দিলে সেটা করতে গেলেই রাজ্যের বিরক্তি!!

. ভ্যালেন্টাইনস ডে সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।। কিন্তু, কয়জন জানেন মা দিবস বছরের কোনদিন হয়?? কয়েকজন হয়তো জানেন, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য!!

. বাবা - মা যারা ছোট থেকে পেলে আমাদের বড় করে, আমাদের প্রত্যেকটা ইচ্ছা, মন বাসনা পূরণ করে।। কিন্তু, প্রেমের টানে, ভালোবাসার টানে, আমরা তাদের কথা না ভেবেই আরেকজনের হাত ধরে পালিয়ে যাই!! চিন্তা করে দেখেছেন, কে আপনাকে আগে থেকে চিনতো?? আপনার সেই গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড, নাকি আপনার বাবা - মা??

আপনি কি রকম মেয়ে বিয়ে করতে চান ?

সম্প্রতি জেনেভা স্কুল অব বিজনেসের গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা আদর্শ পাত্রী খুঁজে বের করার গাণিতিক সূত্র উদ্ভাবন করেছেন।
গবেষকদের মতে, আদর্শ গৃহিণী হতে হলে কনেকে বরের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছরের ছোটো হতে হবে। আদর্শ গৃহিণী খুঁজে দীর্ঘস্থায়ী পারিবারিক জীবনযাপন করতে হলে বর-কনের বয়সের পার্থক্য হতে হবে কমপক্ষে পাঁচ বছর এবং তারা একইরকম পারিবারিক সংস্কৃতি থেকে উঠে আসতে হবে এবং মেয়েকে ছেলের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আদর্শ পরিবার গঠনের উদাহরণ হিসেবে ডিউক অব এডিনবরা এবং রানীর কথাটি বলা যায়। ক্ষেত্রে ডিউক এবং রানীর বয়সের পার্থক্য প্রায় বছরের। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপীয় গবেষণা সাময়িকীঅপারেশনাল রিসার্চ’-এ। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, সুখী এবং দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্যে সামাজিকতার বিষয়গুলো গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েদের শতকরা ১৭ ভাগ বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হবে এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে কমপক্ষে একটি বেশি ডিগ্রিধারী হতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে ফর্সা মেয়েদের তুলনায় শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা কিম্বা কালো রং এর মেয়েরা স্বামী তার পরিবারের সদস্যদের বেশী ভক্তি করে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে স্বাস্থ্যবতী মেয়েরা শান্ত শিষ্ট ধর্য্যশীল হয় আর ক্ষীন স্বাস্থ্যের মেয়েরা খিটখিটে মেজাজের হয়। জানা গেছে, যে পাত্রীরা তুলনামূলক আলজেবরায় ভালো, তারা সাংসারিক দুঃখ সুখ শেয়ারিং ভালো, আর যারা পাটীগণিতে ভালো তারা কিছুটা স্বার্থান্বেষী ধরণের হয়। আর জিওমেট্রিতে ভালো যারা, তাদের লোভ বেশী থাকে। আর, যাদের গলার স্বর চিকন থাকে, তারা বেশ লাজুক ধরণের হয়, সুরেলা কন্ঠের অধিকারীরা স্বাধীনচেতা, এবং অল্প কিছুদিনে একঘেয়েমীতে ভোগে, মোটা কন্ঠের অধিকারীরা কিছুটা রাগি এবং গম্ভীরভাবের হয়। অনেকাংশে তাদের মন ভালো হয়ে থাকে, অনেক সময় থাকে না। এছাড়াও, যেসব মেয়েরা খুব সামান্য কিছুতেই ভয় পায়, বা নোংরা দেখে খুব বেশী রিআ্যাক্ট করে এবং নাক সিঁটকায়, তাদের সাথে সম্পর্কের আগে বেশ বার ভাববেন! কারণ তারা, বেশ আহ্লাদী এবং ডোমিনেটিং স্বভাবের হয়। যারা খুব বেশি খুতখুতে, কাপড় কেনার সময়, ইউনিকনেস এবং দামী হওয়া যা কিনা স্ট্যটাস সিম্বলের প্রতীক, তাদের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সাথে মানবে কিনা, ভালো করে একবার ভেবে দেখবেন সব নিয়ম মেনে বিয়ে করলে শতকরা ২০ ভাগ সংসার সাধারণের তুলনায় বেশিদিন টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বিয়ে বিষয়টি অনেকটাই টিম ওয়ার্ক এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের বিষয়। তবে একজন আরেক জনের ওপর বেশি আধিপত্য দেখাতে গেলেই সর্বনাশ ঘটতে পারে

Thursday, June 28, 2012

Pen Drive থেকে Xp/Vista/Windows 7 Install





ইদানিং অনেকেই জানতে চাচ্ছে Pen Drive থেকে কিভাবে Xp/Vista/Windows 7 Install দেয়া যায় ।এ বিষয়টা ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
তাই এবার এ বিষয়ে পোষ্ট দিলাম ।
উল্লেখ্য যে Xp Install করতে Software লাগবে ; এটি Software ছাড়া হয় না ।
Windows 7 Install করতে Software লাগবে না ।
তাহলে এবার দেখুন কিভাবে করতে হয় ।
Windows Xp Install


Click This Link
উপরের লিংক থেকে software টি আগে download করে নিন ।

১। Unzip করুন ।
২। আনজিপের পর WinToFlash অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করুন।

৩। "Windows Setup Transfer Wizard" এর পাশের বাটনে ক্লিক করুন।
৪। নেক্সট বাটনে চাপ দিন।



৫। এবার আপনার উইন্ডোজের (এক্সপি/ভিস্তা/সেভেন) সেটাপ ফোল্ডারের লোকেশন (হার্ডড্রাইভ অথবা সিডি/ডিভিডি থেকে) এবং আপনার পেনড্রাইভ এর লোকেশন ঠিক করে দিয়ে নেক্সট বাটনে চাপ দিন।



৬। ওকে করুন....এবার পেনড্রাইভে ফাইল কপি শুরু হবে; কপি শেষ হতে কয়েক মিনিট লাগতে পারে।
৭। কপি হয়ে গেলে ওকে বাটন চাপুন।

ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার বুটেবল উইন্ডোজ এক্সপি/ভিস্তা/সেভেন পেন ড্রাইভ। এবার বায়োসে বুট প্রায়োরিটি ইউএসবি ডিভাইস করে দিয়ে অনায়াসে সেটাপ করুন আপনার পছন্দের উইন্ডোজ।

বি:দ্র:
* এক্সপির জন্য কমপক্ষে ২ গিগা এবং ভিস্তা/সেভেনের জন্য কমপক্ষে ৪ গিগা পেনড্রাইভ দরকার হবে।
* পেনড্রাইভ বুটেবল করার আগে পেনড্রাইভের সব ডাটা হার্ড ড্রাইভে সেভ করে নেবেন। তবে বুটেবল করার পর পেনড্রাইভকে সাধারনভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন।
* আপনার PC এ MOTHERBOARD এ USB BOOT OPTION টি থাকতে হবে ।

Windows 7 Install

১। যেকোন ডিভিডি ড্রাইভে উইন্ডোজ ৭/ভিস্তা ইনস্টলেশন ডিভিডি ঢুকিয়ে "Boot" ফোল্ডার খুঁজে বের করুন। "Boot" ফোল্ডার থেকে "bootsect.exe" ফাইলটি কপি করে আপনার হার্ড ডিস্কের যেকোন ড্রাই্ভে (ধরা যাক D ড্রাইভে) পেস্ট করুন (কোন ফোল্ডারে নয়, D ড্রাইভের রুটে পেস্ট করুন)।

২। এবার আপনার পেন ড্রাইভটি NTFS ফরম্যাটে ফরম্যাট করুন।

৩। স্টার্ট মেন্যু থেকে command prompt অপশন এর রাইট বাটনে ক্লিক করে "Run as administrator" হিসেবে চালু করুন।

৪। command prompt এ D: লিখে এন্টার চাপুন (এতে আপনার হার্ড ড্রাইভের D ড্রাইভের রুট ফোল্ডারে চলে যাবেন)।

৫। এবার bootsect.exe/nt60 G: লিখে এন্টার চাপুন (যেখানে G হল আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার)
এতে আপনার পেনড্রাইভে bootmgr code আপডেট হবে।

....ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আপনার বুটেবল ইউএসবি/পেন ড্রাইভ।:)

৬। এখন উইন্ডোজ ইন্সটলেশন ডিভিডির সব ফাইল কপি করুন আপনার পেনড্রাইভে।

৭। কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন এবং বায়োস থেকে boot priority হিসেবে আপনার ইউএসবি/পেনড্রাইভ সিলেক্ট করুন।

৮। উইন্ডোজ ইন্সটল করুন কোন ঝামেলা ছাড়াই এবং তুলনামুলক কম সময়ে।

"NTLDR is missing, press any key to restart" ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ১ মিনিটেই কম্পিউটার ব্যবহার করুন আগেরমত ১০০%। কোন ফাইল মিসিং ছাড়াই।

যারা কম্পিউটার ইউজ করেন তারা মাত্রই জানেন যে কোন সময় আপনার কম্পিউটারটি এ রকম সমস্যায় পড়তে পারে। অফিসের গরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু কম্পিউটারটি অকেজে। "NTLDR is missing, press any key to restart" মেসেজে দেখাচ্ছে। কম্টিউটারটি ওপেন হচ্ছে না। দুশ্চিন্তা করার কোন কারন নেই। উইন্ডোজ বেজ কম্পিউটারে আপনি মাত্র এক মিনেটের মধ্যে এ সমস্যা থেকে বাচতে পারবেন। নিম্ন লিখিত উপায়ে একটি পেন ড্রাইভকে বুটাবেল করে নিজের কাছে রেখে দিন। যখনই এ রকম সমস্যায় পড়বেন ঐ বুটাবেল পেনড্রাইভটি দিয়ে কম্পিউটারটি ওপেন করে আগের মত ১০০% ইউজ করুন। দুশ্চিন্তা ফেলে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে যান।
.....................................

NTLDR (New Technology Loader). আমরা যখন কম্পিউটার ওপেন করি তখন বায়োস প্রাইমারি হার্ডডিস্কের MBR (Master Boot Record) অংশটি খোজ করে। "NTLDR is missing, press any key to restart" মানে হলো বায়োস প্রয়োজনীয় সঠিক ড্রাইভটি খুজে পায়নি, বা একটিভ পারটিশনটি খুজে পায়নি, বা MBR এ NTLDR টি নাই বা সঠিক স্থানে নাই। অনেক ক্ষেত্রে হার্ডডিক্সের ক্যাবল লুস থাকলে এরকম ম্যাসেজ দেখায়।

০১. হার্ডডিস্ক ও মাদার বোর্ডের ক্যাবল গুলো চেক করব।
০২. নতুন কোন হার্ডওয়ার লাগালে সেটিকে কম্পিউার থেকে খুলে
ফেলব।
০৩. পরবর্তী পদক্ষেপ, বুটাবেল পেনড্রাইভ ব্যবহার করব?।

বুটাবেল পেনড্রাইভ: যে ভাবে করতে হবে

একটি বুডাবেল ডিস্ক তৈরী করার জন্য কমপক্ষে ২ জিবি এক পেনড্রাইভ নিন। পেন ড্রাইভে যদি কোন প্রয়োজনীয় ফাইল থাকে, তা ব্যাকআপ রেখে পেনড্রাইভটি একদম খালি করে ফেলুন।

এবার ntldrusb.zip সফটওয়ারটি কারো কাছ থেকে সংগ্রহ করুন। বা এখান থেকে ডাউন লোড করুন। ডাউনলোড লিংক। Click This Link



পেনড্রাইভটি একটি ভাল কম্পিউটারে প্রবেশ করান। এবং ডাউনলোডকৃত/সংগহকৃত সফটওয়ারটি ভাল কম্পিউটারে নিয়ে, যারা একেবারে নতুন তারা নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন। ডাউনলোড করা/সংগ্রহ করা সফটওয়ারটি ‘সি’ ড্রাইভ অধীন মাই ডকুমেন্টস এ রাখুন। ফাইলটিকে Extract করুন।


মাউস দিয়ে ফাইলটির উপর ডাবল ক্লিক/ডান বাটম ক্লিক করুন। "Extract All" ক্লিক করুন।



***
ক্লিক নেক্সট। (আমরা কমপ্রেসড করা ফাইলটিকে Extract করছি, অভিজ্ঞরা নিজেদের ইচ্ছেমত করুন।)



***
ক্লিক নেক্সট। (আপনির Extract করা ফাইলটিকে যে কোন স্থানে সেভ করতে পারেন। তবে নতুনদের সুবিধার্থে তারা সি ড্রাইভের মাই ডকুমেন্টসএ সেভ করুন।)


***
ক্লিক Finish।



এবার এক্সাট করা ফোল্ডারটি ওপেন করুন।

এখান থেকে "HPUSBFW.EXE" ফাইলটি ডাবল ক্লিক করুন।



***
Run ক্লিক করুন।


***
Change the File System to "FAT"
ফাইল সিস্টেমটি "FAT" সিলেক্ট করুন।


যদি একাধিক ইউএসবি ড্রাইভ কম্পিউটারে প্রবেশ করানো থাকে তা হলে তা রিমুভ করুন। TDK LoR … পেনড্রাইভ নেম। এখানে আপনার পেনড্রাইভের নাম দেখাবে। পেনড্রাইভের মধ্যে কিছু থাকলে তা দেখাবে। যদি কিছু থাকে তা ডিলেট হয়ে যাবে। তাই প্রয়োজনীয় ফাইল ব্যাকআপ রাকুন। Volume label আপনার পছন্দ সই যে কোন নাম লিখতে পারেন।


***
ক্লিক "Create a DOS startup disk"


***
ক্লিক ডট বাটনস (এখান থেকে প্রয়োজনীয় ফাইলটি ব্রাউজ করে তা দেখিয়ে দিতে হবে, এ জন্য যারা প্রথমে মাই মাই ডকুমেন্টস এ ফাইল রেখেছিলেন তারা, মাই ডকুমেন্টস এ গিয়ে প্রথমে ntldrusb ক্লিক করুন। এখান থেকে "dos system files" ফাইলটি দেখিয়ে বের হয়ে আসুন। )



***
Then click "Start"
ক্লিক "Start"



***
click "Yes"


***
It will say "Formatting the device.." for a few moments.
এখন পেনড্রাইভটি বুটাবেল হওয়ার জন্য ফরমটে হচ্ছে।



ফরমেট শেষ হলে, আবারো ntldrusb folder টি ওপেন করুন। এখান থেকে "putonusb" ফোল্ডারটি ওপেন করুন। "putonusb" এ ফোল্ডারের অধীন সমস্ত ফাইল COPY করে পেন ড্রাইভে নিয়ে PASTE করুন।

এবার পেন ড্রাইভটি কম্পিউটার থেকে বের করুন। বাস আপনার পেনড্রাইভটি বুটাবেল হয়ে গেল।

( এ পেনড্রাইভটি দিয়ে উইনডোজ ভিত্তিক যে কোন কম্পিউটার ওপেন করতে পারবেন।)

কি ভাবে ওপেন করবেন :
এবার আপনি আপনার পেনড্রাইভটি নষ্ট হওয়া কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে স্টার্ট দিয়ে BIOS অপশনে গিয়ে "Boot Option’’ এর USB drive (পেন ড্রাইভ) সিলেক্ট করে বেরিয়ে আসুন।

কম্টিউটারটি আবার রিস্ট্রার্ট দিন।
এবার প্রথমবার বুট করার সময় নিম্ন লিখিত স্ক্রিন দেখাবে।
Do you want replace boot sector of the drive C: (Y/N) ?_ এখানে Y টাইপ করে এন্টার দিন।



***
"Writing bootsector complete". এ লেখাটি দেখাচ্ছে কিনা খেয়াল করুন।


***
এবার Ctrl+Alt+Delete চেপে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন। এবার আপনি ১০টি অপশন সমৃদ্ধ একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন। এখান থেকে এক এক করে সবকটি চেক করুন। যে কোন একটি অপশন থেকে আপনার কম্পিউটারটি ওপেন হবে।

(কম্পিউটারটি শুধু মাত্র বুটাবেল পেনড্রাইভের সাহায্যে ওপেন হবে। কম্পিউটার বন্ধ করার পর পেনড্রাইভ ছাড়া নিজে নিজে ওপেন হবে না)

নিন্মোক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করলে পরবর্তীতে নিজে নিজে ওপেন হবে (তবে কিছু কম্পিউটারে এ পদ্ধতি কাজ করে না)

বুটাবেল পেনড্রাইভের সাহায্যে কম্পিউটার ওপেন হওয়ার পর পেন ড্রাইভ থেকে boot.ini, ntldr, and ntdetect.com ফাইল তিনটি কপি করে My Computer > Local Disk C: এর উইন্ডোজ ফোল্ডারে পেস্ট করুন।

এবার কম্পিউটার এর Start > Control Panel > PerformanceAndMaintenance/System > Advanced tab > Startup and Recovery section, Settings button > System Startup; then change the "Default Operating System:" এ গিয়ে পেন ড্রাইভের যে ফাইলটি দিয়ে কম্পিউটারটি ওপেন হয়েছিল সে ফাইলটি সিলেক্ট করে বেরিয়ে আসুন।

বাস হয়ে গেলে। নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন।

*** অনেক সময় বুটাবেল পেনড্রাইভ দিয়ে কম্পিউটার ওপেন করা গেলেও পরবর্তীতে নিজে নিজে ওপেন হয় না। বুটাবেল পেনড্রাইভের সহায়তা নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে বুটাবেল পেনড্রাইভ দিয়ে কম্পিউটারটি ওপেন করে প্রয়োজনীয় ফাইল ব্যাক আপ নিয়ে কম্পিউটারটি রিফরমেট করে ফেলুন। আরো জানতে এই লিংকে দেখতে পারেন। Click This Link

যদি কোন উপকারে আসে তা হলে আমার টিউটোরিয়াল ফি বাবদ কিছু টাকা গরীবদের দান করুন। অথবা একজন গরীব ছাত্রকে প্রযুক্তি বিষয়ে সহায়তা করুন।

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের গোপন সংকেত বা মানে জানুন!

বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের অনেকের ই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। অনেকে এটাকে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে বলেন যেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।

আপনারা দেখবেন এটার নীচে লাল কালি দিয়ে লেখা ১৩ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি।


কিন্তু এই ১৩ সংখ্যার মানে কি?


১।
এর প্রথম ২ সংখ্যা - জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।

২।
পরবর্ত্তি ১ সংখ্যা - এটা আর এম ও (RMO) কোড।

সিটি কর্পোরেশনের জন্য - ৯

ক্যান্টনমেন্ট - ৫
পৌরসভা - ২
পল্লী এলাকা - ১
পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা - ৩
অন্যান্য - ৪

৩।
পরবর্ত্তি ২ সংখ্যা - এটা উপজেলা বা থানা কোড

৪।
পরবর্ত্তি ২ সংখ্যা - এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)

৫।
শেষ ৬ সংখ্যা - আই ডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর।

বর্তমানে আবার ১৭ ডিজিট ওয়ালা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল!


জানুন এবং সব্বাইকে জানান!

কম সময়ে Operating System Backup & Restore





আমরা যারা Operating System হিসেবে Windows চালাই তারা প্রায় একটা সমস্যায় পড়ি তা হল দেখা যায় যে কাম্পউটার চালু হচ্ছে না , ফাইল মিসিং,কোন Program কাজ করছে না অথবা সিস্টেম Crash !

তখন আমাদের আবার নতুন করে Operating System দিতে হয় , যা বরাবরই বিরক্তি কর বা সময় সাপেক্ষ। তার চেয়ে বেশী বিরক্তি কর তা হল Operating System Install করার পর দরকারী Software গুলো খুজে খুজে বের করে আবার Install করা । এসব ঝামেল থেকেই সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে Hiren Bootable Cdর মাধ্যমে। এটি Software সহ Operating System কে ব্যাকআপ ও রিস্টোর করতে পারে ।

এজন্য প্রথমে আপনাকে http://www.hiren.info থেকে Hiren নামিয়ে Bootable Cd হিসেবে রাইট করে নিতে হবে ।

এবার একটা ফ্রেশ কপি Operating System Install দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় Software গুলো Install করে নিন ।


কারন আমরা এই Install কৃত Operating System Backup রাখবো এবং পরবর্তিতে এখান তেকেই Restore করব ।


Operating System Backup

১ম ধাপ :-





Hiren Bootable Cd টি আটনার রম এ ঢোকান এবং বায়োস থেকে 1st Boot হিসেবে Cd/DVD Rom কে দেখিয়ে দিন ।


এবার বুট মেনুতে কতগুলো অপশন দেখতে পাবেন




Boot From Hard Drive
Dos Programs
Mini Windows Xp
Mini Linus সহ আরো বেশ কিছু Option



২য় ধাপ :-



Dos Programs Option টি Select করুন







এখানে Hiren’s All In 1 Cd 13.1 Menu নামে একটি window আসবে ।এখান থেকে ৮ নং মেনুটি সিলেক্ট করুন {8.Restore Apps.(Norton Ghost Arconic,Paragon……)}> Acronics True Image (HBCD\ATIS.uha) Option টি Select করুন ।












৩য় ধাপ :-

গ্রাফিক্যাল মোডে কাজ করার জন্য আপনার কম্পিউটারে Mouse,Keyboard,Driver ইত্যাদি ডিটেক্ট করবে । এখানে কোন ধরনের পরিবর্তন না করে Enter চাপুন বা অপেক্ষা করুন । এতে করে আপনা সামনে Acronics True Image Enterprise Server window আসবে ।






যার মধ্য থেকে আমাদের দুটি অপশনের দরকার হবে ।
i.Create Image
ii.Restore Image



৪র্থ ধাপ :-

Backup এর জন্য –
Create Image Select (Next) > Create Image Wizard (Next) >Selecting Partition to Image (Select C Drive & Press Next) > এবার Image Archive Creation এই অংশে আপনাকে বলে দিতে হবে কোন Drive এ আপনি C Drive Back up রাখবেন ।





তা বলে দিয়ে Back up এর একটা নাম দিয়ে Next Button Click করুন ।




Create the full backup Image archive Option টি Select করে নেক্সট বাটন ক্লিক করে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরন করুন ।
Autometic >Compression Level:Normal>password এর ঘরটি খালি রাথুন > Image Archive Comments> Processed এ Click করুন ।





তাহলে এটি আপনার C Drive কে Backup নিতে থাকবে এবং ব্যাকআপ শেষ হলে আপনাকে মেসেজ দিবে ।
ব্যাস হয়ে গেল ব্যাক আপ করা আপনার Operating System যা পরবর্তিতে এখান থেকে আপনি Operating System Restore করে নিতে পারবেন ।
Backup File টা যত্ন করে কোন Hard Drive/Pen Drive /Cd করে রাখুন ।


Operating System Restore From Bckup


*কোন কারনে Operating System নতুন করে Install করার প্রয়োজন হলে আপনার Backup File টি Retore করে নিতে পারেন ।
আর যদি আপনার C Drive Format করার প্রয়োজন হয় তাহলে ৩নং ধাপ হতে Partition Magic Tool সিলেক্ট করে C Drive Format করে নিতে পারেন ।

2. যেহেতু Backup file কে restore করব তাই ৩নং ধাপের Restore Image Select করে নেক্সট বাটন ক্লিক করুন ।
3. Image Archive Selection এ আপনার backup File টি দেখিযে দিন । Next click করুন > No,I do not want to verify কে Select করে নেক্সট বাটন ক্লিক করুন ।
4. Partiton or Disk to restore:NTFS pri,Act Select করে নেক্সট বাটন ক্লিক করুন ।
5. এখানে Restore Partiton Location এ জানতে চাইবে কোথায় Restore করতে চাচ্ছন ,এখানে pri,Act Select করে নেক্সট বাটন ক্লিক করুন ।
6. Restore Partion type: Archive(Next)>Restore Partition Size(Next)>No I do not (Next)> Processed বাটনে Click করুন ।
7. এখন আপনার backup File গুলো Restore কারে শুরু করবে এবং খুব কম সময়ে আপনি আপনার Operating System ফিরে পাবেন ।






টরেন্ট এ হিরেন ডাউনলোড করুন

মুসলমান হিসাবে যে সফটওয়্যার টা আপনার পি,সি এবং মোবাইলে থাকা প্রয়োজন ছিল।




আসসালামু-আলাইকুম ওয়ারহমততুল্লাহ..........
প্রজ্ঞাময় প্রভুর চরণে অনন্ত শুক্রিয়া যিনি দয়া করে আমাদের জিন্দিগীর সময়কে দীর্ঘাইয়িত করে সুযোগ দান করেছেন, তার প্রশংসা আর গোলামী করার জন্য। আশাকরি সবাই রাহমানুর রাহিমের কৃপায় আলহামদুল্লিলাহ।
সবাই সুখে শান্তিতে থাকেন, এটাই কামনা করি পরম করুণাময়ের নিকট। আর সুখ ও শান্তিতে থাকতে চাইলে অবশ্যই ঐ ভাবে চলাফেরা করা উচিত আমাদের। যিনি শুখ ও শান্তি দেওয়ার মালিক, তার কথামতে চল্লে ও তার সমস্ত আদেশ নিষেধ মানলে অবশ্যই আমরা পৃথিবীতে সুখ ও শান্তিতে এবং পরকাল আন্দের মাঝে কাটাতে পারবো ইনশাল্লাহ, এতে কোন সন্দেহ নাই। আমাদের ইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্বের একটি হল নামাজ, এই নামাজ আমাদের প্রতি ফরজ করা হয়েছে, ফরজ মানে অবশ্যই করনীয়, নামাজ ব্যতি রেখে কেউ আল্লহর হজুরিতে পোঁছিতে পারে নাই। সবাই জানি নামাজ বেহেস্তের চাবি। চাবি ছাড়া যেমন তালা খোলা যায় না তেমনি, নামাজ ছাড়া ও বেহেস্তে যাওয়া যাবেনা। নামাজ সম্বন্দে আমাদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কুরানুল কারিমে ৮২ বার বলা হয়েছে। ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদাই কারির জন্য, আল্লাহপাক ৫ টি পুরুস্কারের ঘোষণা ও দিয়েছেন, আমরা মুসলমানরা সবাই জানি, এবং বিশ্বাস করি। নামাজ সম্বন্দে বলতে গেলে লিখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে, আর অনেক বড় লিখা সামুতে পড়ার মত পাঠক পাঠিকা একেবারেই কম, তাও ধর্ম বিষয়ে লিখাত আরও কম পড়া হবে জানি। তাই যখনি মনে পড়ে গেল সামুর জন্যে লিখছি, তখনি শর্ট করে দিলাম। যাক এইবার যে সফটওয়্যার টার কথা আপনাদের বলছিলাম সেই সফটওয়্যারটির নাম হল- Azan । সফটওয়্যারটি তে আছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযান। আপনি বিশ্বের যে কোন সিটিতে অবস্থান করেন ঐ সিটির টাইম অনুযায়ী আযান দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামাজের সময় হয়েছে।

এই স্কিনসট্টী তে দেখেন আমি বাংলাদেশের ফেনী শহরের টাইম সিলিক্ট করেছি। সফটওয়্যারটি ডাউন লোড এবং সেটিং সাধারন সফটওয়্যারের মতই।
আপনার মোবাইল অথবা পি,সির জন্য ফ্রী ভার্সনটি এখূনি নিছের লিংক থেকে ডাউন লোড করতে পারেন।
পিসির জন্য


মোবাইলের জন্য।

জেনে রাখা ভালো- ৫৪ ধারা ???-সমাধান- আপনার অধিকার???

৫৪ ধারা কি ৫৪ ধারায় পুলিশ ধরলে আপনার অধিকার কি?


ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে বা জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ বা সন্দেহ থাকলে, আইনসঙ্গত অজুহাত ছাড়া কারও কাছে ঘর ভাঙার সরঞ্জাম থাকলে, সংবাদপত্র বা গেজেটের মাধ্যমে ঘোষিত অপরাধী হলে, প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে পালিয়ে গেলে, পুলিশের কাজে বাধা দিলে বা পুলিশের হেফাজতে থেকে পালিয়ে গেলে, দেশের বাইরে অপরাধ করে পালিয়ে এলে, চোরাই মাল থাকলে বা অন্য কোন থানা থেকে গ্রেফতারের অনুরোধ থাকলে যে কোন ব্যক্তিকে পুলিশ সন্দেহবশত গ্রেফতার করতে পারবে।

কিন্তু দেশের অতীত ও সাম্প্রতিক ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫৪ ধারা যতটা না অপরাধীকে সাজা দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য। 'ঈদ ও পূজার মতো বড় উৎসবের আগে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ৫৪ ধারাকে অপব্যবহার করে। এর জন্য পুলিশের কোন সাজা হয় না।' কিন্তু পুলিশ অপরাধ করলে তারও বিচারের বিধান রয়েছে। ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এমন প্রমাণ হলে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায় না।
পুলিশ অবশ্য ৫৪ ধারা অপপ্রয়োগের অভিযোগ মানতে নারাজ। আইনজীবীরা বলছেন, ৫৪ ধারায় পুলিশকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতে কোন অপরাধ সঙ্গায়িত করা হয়নি। তাই এ ধারায় কাউকে গ্রেফতার করা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায় না। তবে ৫৪ ধারায় কোন ব্যক্তিকে আটক রাখতে হলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হয় এবং গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তা হয় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যখন কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়, তখন গ্রেফতারের পরপরই তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনার বদলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দেয়া হয়। কারণ এ আইনে আটকাদেশ দেয়ার জন্য কোন অপরাধের অভিযোগ আনার প্রয়োজন হয় না, কেবল সন্দেহই যথেষ্ট।' এমন প্রেক্ষাপটেই ৫৪ ধারা সংশোধনের দাবি ওঠে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আবেদনে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের বা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা মতে সন্দেহবশত কাউকে গ্রেফতার এবং ১৬৭ ধারা মতে তদন্তের নামে আসামিকে রিমান্ডে এনে শারীরিক অত্যাচারের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে ১৯৯৮ সালের ২৯ নভেম্বর সরকারের প্রতি রুল জারি করেন আদালত। এতে বলা হয়, সন্দেহবশত কাউকে গ্রেফতার এবং তদন্তের নামে রিমান্ডে এনে আসামিকে শারীরিক নির্যাতন করা থেকে নিবৃত্ত করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এ ব্যাপারে সরকারকে জানতে হবে। রুলের ওপর শুনানি গ্রহণ করে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল বিচারপতি হামিদুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয় মাসের মধ্যে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন। আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে বলেন আদালত।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিগত চারদলীয় জোট সরকার। আবেদনে হাইাকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন জানানো হয়। আবেদনে বলা হয়, সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সম্পর্কে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনের এ দুটি ধারা সঠিক। এ জন্য আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের কোন প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট আইন সংশোধনের কোন নির্দেশনাসমূহ স্থগিত করেননি। সরকারের আপিল এরপর ২০০৭ ও ২০০৮ সালে দুবার শুনানির জন্য কার্য তালিকায় এলেও তখন দেশে জরুরি আইন থাকায় শুনানি হয়নি।

হাইকোর্ট রায়ে ৫৪ ধারার ২ উপ-ধারা সংশোধনের জন্য সরকারকে কয়েকটি নির্দেশনা প্রদান করেন। এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলোঃ


(১)আটকাদেশ দেয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না,


(২) কাউকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে,


(৩)গ্রেফতারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ব্যক্তিকে কারণ জানাতে হবে,


(৪)বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেফতার নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোনে বা বিশেষ বার্তাবাহক মারফত বিষয়টি জানাতে হবে,


(৫)জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে,


(৬)পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবেন


(৭)এবং বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তাকে দ-বিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।


হাইকোর্ট নির্দেশনায় আরও বলেন, পুলিশ হেফাজতে কারাগারে গ্রেফতার ব্যক্তি মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাটি জানাতে হবে এবং পুলিশ বা কারা হেফাজতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে তা তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। মৃত ব্যক্তির ময়না তদন্ত করা হবে। ময়না তদন্তে বা তদন্তে যদি মনে হয় ওই ব্যক্তি কারা বা পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট মৃত ব্যক্তির আত্মীয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তা তদন্তের নির্দেশ দেবেন। ব্লাস্টের মতে, '৫৪ ধারায় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার এবং পরে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট ১৫ দফা নির্দেশনা প্রদান করে। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার লিভ টু আপিল করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে আপিলের অনুমতি প্রদান করলেও হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করেনি। সেগুলো এখনো বহাল। রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমতার বাইরে থাকলে এই আইন সংশোধনের জন্য জোর দেন। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে আইনটিকে ব্যবহার করেন। এ কারণেই হাইকোর্টের নির্দেশ বা রায় আজও কার্যকর হয়নি।

ব্রেকআপের পরেও প্রেমিকাকে ফিরে পাবার দূর্ধর্ষ ১০টি টেকনিক


ব্যাপক গবেষণা করে এই দূর্দান্ত ১০টা টেকনিক বানিয়েছি। আজ থেকে কাজে লেগে যান সবাই বা ভবিষ্যতের জন্য শিখে রাখুন। বিফলে মূল্য ফেরত।


চরম জেলাস ফিল ও মন খারাপ করতে থাকবেন

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট। ছ্যাকা খাবার পর আপনার প্রেমিকার সাথে যদি নতুন কোন ছেলেকে দেখেন তাহলে তাহলে মেয়েটির সামনেই হালকা নাটক করতে হবে আপনাকে। মেয়েটি এবং নতুন ছেলেটির দিকে একদম একপলকে তাকিয়ে থাকবেন। এমনভাবে তাকানো শুরু করে দিবেন যে তারা যেন অস্ব:স্তি ফিল করা শুরু করে। নিজের চেহারা চরম হতাশাগ্রস্ত এর মতো বানিয়ে ফেলবেন। যেন কষ্টে আপনার বুক ফেটে যাচ্ছে। তারপর কিছুক্ষণ এরকম করে দাড়িয়ে খুব কষ্ট যেন পেয়েছেন এরকম ভাব দেখিয়ে টলতে টলতে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে সেখান থেকে বেরিয়ে যাবেন।

মেয়েটির ছায়া হয়ে থাকুন কিছুদিন

খুবই বিপদজনক একটা টেকনিক। খুবই সাবধানের সাথে ব্যবহার করতে হবে। মেয়েটি যাতে ভুলেও আপনার আসল উদ্দেশ্য টের না পায়। তাহলে সব শেষ। ভান করবেন যেন আপনি আড়াল থেকে মেয়েটিকে এখনো দেখে যাচ্ছেন। ভুলেও ইভটিজার হারামীদের মতো কিছু করবেন না। মেয়েটির সাথে ভুলেও কথা বলতে যাবেন না। দূর থেকে এমনভাবে মেয়েটির দিকে করুণ নয়নে তাকিয়ে থাকবেন যেন মেয়েটিকে এই একটু দেখতে পারাটাই আপনার জন্য সব। ভান করবেন এতেই আপনি মহা খুশী। এমন দূরত্ব বেছে নিবেন যাতে মেয়েটি আপনাকে দেখে ফেলে কিন্তু সে যে ভাবে যে আপনি চাচ্ছেনই না যে মেয়েটি আপনাকে দেখে ফেলুক। বাংলা মুভির সিন আরকি। কিছু করার নাই। করতে হবে।

সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ

সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ এইটা। ব্যাপক কষ্টেরও বটে। ব্রেকআপ হবার পরেও একটা ছোট আশা থাকে এই যোগাযোগ মাধ্যম। মনে হবে হয়তো মেয়েটি ফেসবুকে নক করতে পারে!!! আবার হয়তো সে এই ফোন দিলো!!! লাভ নাইরে ভাই। মেয়েদের হৃদয় বড়ই শক্ত। এত সহজে ভুলবে না সব। এক কাজ করেন.......মেয়েটি যেকোন কারণেই যদি আপনাকে ফোন দেয় ফোন ধরবেন না। মেসেজ পাঠালে সেটারও রিপ্লাই দিবেন না আপাতত। ফেসবুকেও মেয়েটির সাথে আপাতত কোনপ্রকার যোগাযোগ করার দরকার নাই। শুরুতেই এই কাজটি করলে ভালো হয়। তবে বেকুবের মতো আবার রিমুভ করে দিয়েন না। হঠাৎ করে তাহলে মেয়েটি হয়তো বুঝতে পারতে পারে যে সে আপনাকে মিস করছে। বলাও যায় নারে ভাই। হতেও পারে।

মেয়েটিকে জেলাস ফিল করান

এইটা আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চরম ভেজালের একটি কাজ। টেকনিকটা ক্লিক করলে কেল্লাফতে আবার ক্রসফায়ারে পড়ে যাবারও তুমুল সম্ভাবনা আছে। সাবধানে ব্যবহার করতে হবে এই টেকনিক। টেকনিকটির একমাত্র পয়েন্টই হলো মেয়েটিকে চরমভাবে জেলাস ফিল করাতে হবে। নিজের কোন খুব ভালো মেয়ে বন্ধুকে নিজের ব্রেকআপের সব গল্প বলে কিছুদিনের জন্য তাকে রাজিক করান। যাতে সে কিছুদিনের জন্য আপনার গার্লফ্রেন্ডের অভিনয় করে। বিশেষ করে পুরনো প্রেমিকার সামনে। লাভ হলো আপনার পুরনো প্রেমিকাটি চরম জেলাস ফিল করতে পারে। ঠিকমতো সব ক্লিক করলে সুখবর পেয়ে যেতে পারে। আর বিপদজনক সমস্যাটা হলো আপনি নতুনভাবে জীবনভাবে নিজের জীবন শুরু করেছেন এই ভেবে আবার না আপনার পুরনো প্রেমিকা দূরেই সড়ে যায়!!!! সুতরাং বুঝেশুনে!!!!!

নিজেকে বাবু সাজিয়ে রাখুন

ব্রেকআপের পর না ঘুমিয়ে, শেভ না করে, চুল কাটা বন্ধ রেখে চেহারায় দেবদাস ভাব আনার দরকার নাই কোন। এইটা চরম বেকুবি। এসব দেখলে মেয়েটি আরো হাসবে। একদম ক্লিন শেভ করে, চুলটুল কেটে একদম ফিট বাবু হয়ে যান। চেহারায় নায়ক ভাব নিয়ে আসুন।

উইশ করতে ভুলবেন না

মনে রাখবেন আপনি ব্র্যাড পিট বা লিওনার্দো না। একদম বেশী ভাব নেয়ার আবার দরকার নেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ব্রেকআপের পরেও মেয়েটিকে তার জন্মদিনে বা মেয়েটির জীবনের ভালো কোন সংবাদ পেলে তাকে একটা ছোট মেসেজ দিয়ে উইশ করবেন। মেসেজটা যেন একদম ছোট হয়। পুরনো কাসুন্দি মেসেজ লেখার দরকার নাই। ছোট্ট করে স্মার্ট একটা মেসেজ। যাতে মেয়েটির ধারণায় থাকে যে আপনি তার একজন শুভাকাংখী।

মেয়েটিকে খোচা দিয়ে কথা বলুন

ব্রেকআপের পরেও আপনাদের সম্পর্ক এখন বন্ধ হিসেবে না থাকলেও হয়তো প্রায়ই আপনাদের দেখা হয়। এসময় মেয়েটির সাথে গদগদ হয়ে কথা বলা বন্ধ করুন। হালকা শক্ত হয়ে যান। পারলে মেয়েটিকে খোচা দিয়ে কথা বলুন। এমন কথা যেটা মেয়েটির গায়ে লাগতে পারে। দেইখেন আবার একসেস খোচা দেয়া শুরু করে দিয়েন না। তাইলে দেখাটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অতি চালাকির সাথে টেকনিকটা ব্যবহার কইরেন।

মেয়েটির দিকে করুণভাবে একপলকে তাকিয়ে থাকুন

ধরুণ মেয়েটিসহ কয়েকজন আপনার সামনে বসে গল্প করছে। আবার হয়তো হঠাৎ করেই মেয়েটি আপনার সামনে পড়ে গেছে হঠাৎ করে। একদম একটু দূরে থেকে একপলকে করুণ চোখে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকুন। মেয়েটিসহ সবার যেন সেটা চোখে পড়ে। আপনাকে নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি শুরু হয়ে যেতে পারে তাদের মাঝে। একদম ইগনোর করে যান সেসব। কিছুক্ষণ এভাবে তাকিয়ে থেকে চরম হতাশার ভান করে চলে যান। ভুলেও আবার আগ বাড়িয়ে কথা বলদে যাইয়েন না। আপনার জন্য তাদের একটু খারাপ লাগতেও পারে।

ইমোশনাল সিন ক্রিয়েট

অতি সাবধানতার সাথে কিছু ইমোশনাল সিন ক্রিয়েট করতে হবে আপনাকে। ধরেন আপনি জানেন যে মেয়েটি তার বন্ধুদের সাথে একটু পরই একটা জায়গায় আড্ডা দিবে। সাথে সাথে মেয়েটির আগে সেখানে চলে যাবেন। এমন একটা জায়গা বসবেন যেখানে থাকলে মোটামুটি সব জায়গা থেকে আপনাকে দেখা যায়। এইবার কানে একটা এয়ারফোন লাগিয়ে করুন টাইপের গান শোনার ভাব নেন। যারা সিগারেট খায় তারা হাতে একটা সিগারেট ধরান। খুব হতাশভাবে কোন একদিকে একপলকভাবে তাকিয়ে থাকেন। সিনটা এমনভাবে সাজাবেন যাতে মেয়েটিসহ তার বন্ধুদেরও আপনার জন্য মনটা খারাপ হয়ে যায়। ব্যাপক কাজে দিবে কিন্তু এই টেকনিক। অত্যন্ত সাবধানতার সাথে সুযোগ পেলেই এরকম আরো কিছু ইমোশনাল সিন ক্রিয়েট কইরেন।

ড্যাম কেয়ার ভাব নেন

(এইটা ব্যাকআপ। অন্যগুলো কাজ না হলে চেষ্টা কইরেন)
ব্রেকআপের কষ্ট নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখেন আপাতত। কান্নাকাটি যা করার সবার আড়ালে কইরেন। সবার সামনে বিশেষ করে মেয়েটি বা তার বন্ধুদের সামনে একদম ড্যাম কেয়ার ভাব নিয়ে থাকেন। ব্রেকআপ হয়েছে.....তাতে কি??? এইটা কোন ব্যাপার হলো??? ধুর!!! এই সব জিনিস নিয়ে আমার ভাবার সময়ই নেই। এরকম ভাব মেরে থাকেন। পারলে সবার সাথে নরমালি বিহেভ করেন। যাতে মনে হয় ভুলেই গেছেন সব। একটু হলেও অবাক হবে সবাই আপনার আচরণে।




***
যদি আসলেই মেয়েটিকে ফিরে পেতে চান তাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। মেয়েটি আরেক ছেলের সাথে প্রেম করে সুখে আছে। তার আনন্দই আমার সুখ। এইসব বাংলা সিনেমামার্কা চিন্তাভাবনা অফ করেন। আরেক ছেলে আমাদের মাঝখানে আসবে মানে ??? ফাজলামী নাকি!!! বললেই হলো!!!! শেষ রক্ত থাকা পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো আমি।

***
কিছু টেকনিক বিপদজনক আছে। সাবধানে ব্যবহার না করলে উল্টা ক্রসফায়ারে পড়ে মান-ইজ্জতসহ সব হারাতে পারেন। তাই একটু সাবধানে।

***
কোনভাবেই নিরাশ হবেন না। একদম মেয়েটির বিয়ে হবার আগ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকুন। বিয়ে হলে গেলে সব আশা বাদ দেন।

পিসি (পার্সোনাল কম্পিউটার) কিনবেন?? কি কিনবেন?? কেন কিনবেন?? কিছু টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ এবং সতর্কতা!!!

............আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুব শীঘ্রই পিসি কিনবেন অথবা নিকট ভবিষ্যতে পিসি কিনতে পারেন এই সম্ভাবনা রয়েছে। পিসি কেনার ব্যাপারে আপনার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই বা এ ব্যাপারে আপনাকে গাইডলাইন দিতে পারে আশেপাশে এমন কেউ নেই। দুশ্চিন্তার তেমন কিছুই নেই!! পিসি কেনাটা আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছে মারাত্মক ভীতিকর মনে হলেও আসলে এটা তেমন জটিল কোন কাজ না। মনে হালকা একটু সাহস আর আত্মবিশ্বাস থাকলেই যে কেউ নিজের পিসির কনফিগারেশন নিজেই ঠিক করে একা একাই পিসি কেনার জন্য বের হতে পারে। তারপরও যাদের মনে এখনো কিছুটা ভীতি কাজ করছে, হয়তোবা আমার এই লেখাটা তাদের মনের ভীতি কাটিয়ে দিয়ে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে পারে।



আমার এই লেখায় আমি চেষ্টা করব খুবই সহজবোধ্য ভাষায় আপনাকে পিসি কেনার আগের পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন দিতে। এখানে যেসব কথা থাকবে তার বেশীরভাই আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া আর কিছু সহজ টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো নেট থেকে নেওয়া। সেই সাথে আমি চেষ্টা করেছি এই লেখায় এমন কোন জটিল শব্দের ব্যবহার না করতে, যাতে নতুনদের বুঝতে সমস্যা হয়!! আর এই কারণে অনেক জটিল টেকনিক্যাল টার্মকে আমি এড়িয়ে গিয়েছি ইচ্ছে করেই!! যারা এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ, তারাও চাইলে আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন এবং আমার লেখার ভুলত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিতে পারেন। আশা করছি আপনাদের তথ্যগুলো আমার পোষ্টে সংযুক্ত করে পোষ্টকে আরো সমৃদ্ধ করতে আপনাদের সাহায্য পাব!!




এই লেখায় পরামর্শদানের ব্যাপার পিসি ব্যবহার কারীদের আমি ৩ লেভেলে ভাগ করেছি। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন লেভেলের ব্যবহারকারী কেমন হতে পারে!!


লেভেল-১:
এরা সাধারণ পিসি ইউজার। পিসিতে গান শোনা, মুভি দেখা, সখের বশে গেম খেলা এবং হালকা টাইপের কাজ করাই এদের প্রধান উদ্দেশ্য। মোটামুটি মানের পিসি হলেই এদের জন্য যথেষ্ট।

লেভেল-২:
এই লেভেলের ব্যবহারকারীরা কিছুটা লেভেল-১ এর মত হলেও এরা কিছুটা সৌখিন টাইপের। এবং এদের কাজের পরিধি বেশী না হলেও এরা তাদের খুতখুতে স্বভাবের ও দূরদর্শী মনোভাবের কারনে একটু ভালো কিছু আশা করে।

লেভেল-৩:
আমি এদেরকে বলি প্রো-লেভেল। অর্থ্যাৎ এরা তো সৌখিন বটেই সেই সাথে এদের কাজের পরিধি বিশাল। যেমন হার্ডকোর গেমিং, ভিডিও এডিটিং, মাল্টিটাস্কিং ইত্যাদি।


তাহলে আসুন দেখি আপনার ভয় কতটা কাটাতে সাহায্য করতে পারি......!!
:)

=============================================



প্রসেসর:

এটা কি জিনিস, মনে হয় বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। বছর খানেক আগেও PROCESSOR এর ব্রান্ড সিলেকশন নিয়ে তেমন কোন সমস্যা ছিলনা। মার্কেটে ইন্টেলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে গেছে। যারা প্রসেসর বলতে ইন্টেলকেই বোঝেন তাদের দ্বিধা দ্বন্দে ফেলার জন্য বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে এএমডি এর প্রসেসর চলে এসেছে। যদিও মার্কেটে এখনো ইন্টেলের মত এএমডি অতটা শক্ত অবস্থান গাড়তে পারেনি। তারপরও এটা কোন অংশেই ইন্টেলের চাইতে পিছিয়ে নেই। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এটা ইন্টেলকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। অনেকের মাঝেই এখনো ভুল ধারনা আছে যে, এএমডির প্রসেসর মনে হয় খুব গরম হয়!!! আর এই ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করতে বলি, প্রসেসর তো গরম হবেই। আর সেটা সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য এএমডির প্রসেসরগুলো সাথে এখন যে হিটসিংক দেওয়া হচ্ছে সেগুলো খুবই কার্যকরী। অতএব এএমডির প্রসেসর অতিরিক্ত গরম হওয়া নিয়ে আর কোন টেনশন রইলনা।

যাইহোক, কোন ব্রান্ডের প্রসেসর কিনবেন এটা সম্পূর্ন আপনার নিজের ব্যাপার। কারণ ইন্টেল ও এএমডি এর মধ্যের যুদ্ধে কেউ কারো কাছে হার মানেনি। যেমন: ইন্টেলের রয়েছে হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি। যেটা সিঙ্গেল কোরের প্রসেসরকে মাল্টিটাস্কিং এর সময় বিভাজন করে ফেলে কাজের গতিকে ত্বরাণ্বিত করে। অপর দিকে এএমডির রয়েছে "হাইপার ট্রান্সপোর্ট" টেকনোলজি। প্রসেসর কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে স্পেসিফিকেশন দেখে নিয়ে সেটার FSB (Front Side Bus) কত, ক্যাশ মেমরী কত? কোন লেভেলের ক্যাশ মেমরী? ক্লক স্পিড কত?- জেনে নিবেন আশা করছি। FSB (Front Side Bus) বেশী হলে আপনার পিসির পারফর্মেন্স বাড়বে। সেই সাথে ক্যাশ মেমরী বেশী নেবার চেষ্টা করুন। বর্তমানে প্রসেসর গুলোতে L-1 (Level-1), L-2 (Level-2), L-3 (Level-3) ক্যাশ মেমরী দেওয়া আছে। এখানে উল্লেখ্য L-3 (Level-3) ক্যাশ মেমরী নতুন টেকনোলজি। এর পরিধি বড় হলেও এর স্পিড কম। এই তুলানায় L-2 (Level-2) অনেক স্পিডি এবং দামী। তবে সবচেয়ে দামী ও স্পিডি হচ্ছে L-1 (Level-1) ক্যাশ মেমরী। তবে প্রসেসরে এদের পরিমাণ কম। তাই বেশী পরিমাণে L-1 (Level-1) ও L-2 (Level-2) ক্যাশ মেমরী নেবার চেষ্টা করুন। তবে এই কারনে প্রসেসরের দাম কিন্তু একটু বেশীই পড়তে পারে। আর বর্তমানের বেশী L-3 (Level-3) ক্যাশ মেমরী কিন্তু এক ধরনের আইওয়াশ!! নতুন টেকনোলজি বলে অনেকেই এটাকে অতিরিক্ত গুরত্ব দেন। এটা কিন্তু একধরনের বিজনেস স্ট্রাটেজি!! প্রসেসরের ক্লক স্পিড মানে হচ্ছে প্রসেসর কত স্পিডে কাজ করবে, সেটার পরিমাপ। যেমন: একটি প্রসেসর যদি হয় Core 2 Duo 2.67 Ghz. তবে এখানে 2.67 Ghz হচ্ছে প্রসেসরের ক্লক স্পিড!! আপনি যদি লেভেল-১ ইউজার হন তো আপনার জন্য এই মুহূর্তে ডুয়েল কোর-ই যথেষ্ট। তবে বাজেটে কুলালে চাইলে কোর-টু ডুয়ো (যদি মার্কেটে পাওয়া যায়) ও নিতে পারেন। আর লেভেল-২ দের বলব এই মুহূর্তে বাজারে যেহেতু কোর-টু ডুয়ো বা কোর-টু কোয়াড তেমন এভেইলেবল না, তাই আপনি ইন্টেলের কোর-আই থ্রি বা বড়জোর কোর আই ফাইভ নিতে পারেন (যদি আপনার বাজেটে কুলায়)। তবে আপনি চাইলে এএমডিএর ফেনম সিনিজের ৪ কোরের প্রসেসরও নিতে পারেন। দামের তুলনায় পারফর্মেন্স অনেক বেটার পাবেন। এবার আসি লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের দিকে!! আপনাদের যেহেতু কাজের পরিধি বিশাল এবং আপনারা অনেকেই প্রো লেভেলের, তাই আপনাদের এই মুহূর্তে ইন্টেলের সেকেন্ড জেনারেশনের কোর-আই সেভেন প্রসেসর নিতে বলব বা এএমডির ফেনম সিরিজের ৬ বা ৮ কোরের প্রসেসর। তবে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভিডিও এডিটিং এর কাজে এএমডির প্রসেসর গুলো ইন্টেলের চাইতে অনেক বেটার পারফর্ম করে। আর সে তুলনায় দামও কিছুটা কম। যেহেতু হার্ডকোর গেমিং, হাই লেভেলের ভিডিও এডিটিং, থ্রি-ডি এনিমেশন এর জন্য বেশ পাওয়াফুল প্রসেসর দরকার, তাই আপনার চাহিদা মেটাতে আপনি বাজারের এই মুহূর্তের শক্তিশালী কোন প্রসেসর কিনতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে এএমডি ৮ কোরের প্রসেসর বাজারে ছেড়েছে, যার কোডনেম "বুলডোজার"। সাধ থাকার পরে সাধ্যে কুলালে এটার দিকে যেতে পারেন।
:)






মাদারবোর্ড:

আপনি যতই আনাড়ি পিসি ইউজার হোন না কেন, এটা কি জিনিস, তা আশা করছি বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। মাদারবোর্ড সিলেকশনের ব্যাপারে আপনার প্রসেসর এর দিকে খেয়াল রাখুন। প্রসেসর যে ধরনের সকেট সাপোর্ট করে অর্থ্যাৎ প্রসেসরের কানেক্টর যেমন, সেটার সাথে ম্যাচ করে মাদারবোর্ড কিনুন। যদিও কথাটা কিছুটা বোকার মত শোনালো। কারন প্রসেসরের সকেটে সিলেকশনের ব্যাপার সত্যিই চিন্তা করার কিছুই নেই। কারন আপনার ভেন্ডর (দোকানদার) অবশ্যই আপনাকে প্রসেসরের সাথে ম্যাচিং করেই মাদারবোর্ড রেকমেন্ড করবে। তারপরও কিছু কথা থেকেই যায়। আপনি যে লেভেলেরই ইউজার হোন না কেন, আপনার প্রসেসরের সাথে ম্যাচিং করে ভালো ব্রান্ডের মাদারবোর্ড কিনুন। লেভেল-১ ও লেভেল-২ ব্যবহারকারীরা মোটামুটি মানের মাদারবোর্ড কিনলেই যথেষ্ট। তবে লেভেল-৩ দের পরামর্শ দিব দাম বেশী হলেও কোয়ালিটি ফুল মাদারবোর্ড কেনার জন্য। বাজারে যে ব্রান্ড গুলো বেশ সুনামের সাথে চলে আসছে, সেরকমই কিছু কিনুন। সেই সাথে মাদারবোর্ডে বিভিন্ন রকম কানেক্টর গুলো সম্পর্কে একটু খোজ খবর নিন। যেমন: RAM এর স্লট কয়টা, কি টাইপের, কত বাস স্পিডের RAM সাপোর্ট করে, গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য স্লট কয়টা, মাদারবোর্ডে আলাদা ভাবে কি কি হার্ডওয়ার সাপোর্ট করবে, পরবর্তী সময়ে আপগ্রেড করতে গেলে কোন লেভেল পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে, হার্ডডিস্ক কতটুকু সাপোর্ট করবে, মাদারবোর্ডে পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য কয়টা এক্সপ্যানশন স্লট ফাঁকা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি!!! সহজ কথায়, বাজার থেকে যথেষ্ট পরিমান তথ্য সংগ্রহ করে মাদারবোর্ড কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিন। মাদারবোর্ড কোন ব্রান্ড ভালো হবে, এ ব্যাপারে মন্তব্য করাটা যদিও বোকামী তারপরও বলতে পারি, আমার ব্যাক্তিগত পছন্দ হিসেবে মাদারবোর্ডের ব্রান্ড হিসেবে আমি ASUS এবং Gigabyte কে সবার উপরে রাখি। :)






RAM (Random Access Memory):

এইটা কি জিনিস? খায় না মাথায় দ্যায়- আশা করছি এই টাইপের কোন প্রশ্ন শুনতে হবেনা। কারন আমার জানা মতে ব্লগাররা এখন অনেক স্মার্ট আর সচেতন। বর্তমানে বাজারে ডিডিআর-৩ RAM দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও কোন কোন দোকানে ডিডিআর-২ RAM ও দেখা যাচ্ছে। যদিও আশা করা যায়, এই ডিডিআর-২ RAM কিছুদিনের মধ্যেই জাদুঘরে চলে যাবে। আপনি যদি এখন RAM কিনতে যান তো অবশ্যই মাদারবোর্ড কি টাইপের RAM সাপোর্ট করবে, সেটা বিবেচনা করেই আশা করছি কিনতে যাবেন। তবে এখনকার সব মাদারবোর্ডেই লেটেষ্ট ডিডিআর-৩ RAM এর সাপোর্ট রয়েছে। আবার কোন কোন মাদাবোর্ডে ডিডিআর-৩ RAM এর পাশাপাশি ডিডিআর-২ এর সাপোর্টও রয়েছে। সহজ কথায় আপনার মাদাবোর্ড যে ধরনের RAM সাপোর্ট করবে আপনি সেই ধরনেরই RAM কিনবেন। এবার আসি RAM কেনার ব্যাপারে হালকা গাইড লাইনে!!

আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বেশীর ভাগ ক্রেতাই দোকানে গিয়ে RAM এর ব্রান্ড বা কোয়ালিটির ব্যাপারে যথেষ্ট বেখেয়ালী তাকে। তারা শুধুমাত্র কতটুকু RAM মাদারবোর্ডে ব্যবহার করবে সেই পরিমাণটা বিক্রেতাকে বলে দিয়েই খালাস!! কোন ব্রান্ডের, কত বাস স্পিডের RAM দিতে হবে সেটা বিক্রেতা কর্তৃক নির্ধারিত করা হয়ে থাকে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি বিক্রেতা বেশী লাভের আশায় অনেক অখ্যাত ব্রান্ডের RAM ক্রেতাকে গছিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, RAM সিলেকশনও একটা গ্রেট ম্যাটার। যেটা অনেক ক্রেতাই গুরত্ব দেয়না। একটা RAM এর পারফর্মেন্স সেটার চিপের উপর নির্ভর করে। আর নামী দামী ব্রান্ডগুলো সাধারনতঃ ভালো মানের চিপ ব্যবহার করে থাকে। যে কারনে মেমরী একই রকম হলেও তাদের RAM এর দাম অন্য গুলোর চাইতে একটু বেশীই হয়ে থাকে। তাই, আজকে আমার এই লেখা যারা পড়ছেন, তাদের বলব পিসির প্রতিটা হার্ডওয়ার সিলেকশনের ব্যাপারে যথেষ্ট স্মার্টনেসের পরিচয় দিন। কারণ অনেক গুলো হার্ডওয়ারের সম্বন্বয়েই একটা পিসি তৈরী হয়।


যারা লেভেল-১ এবং লেভেল-২ ব্যবহারকারী, তাদের বলব আপনার মাদারবোর্ড যে টাইপের, যতটুকু ক্যাপাসিটির RAM সাপোর্ট করে, তার উপর নির্ভর করে বাজেট অনুযায়ী ভালো ব্রান্ডের RAM কিনুন। আর এক্ষেত্রে আমার মনে হয় এই মুহুর্তে ৪ গিগার নীচে RAM ব্যবহার করাটা চরম বোকামী। সাধ্যে কুলালে আরো বেশী ব্যবহার করতে পারেন। কারণ RAM ই একটা হার্ডওয়ার, যেটা কম দামের মধ্যে পিসির পারফর্মেন্স অনেকাংশে বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা লেভেল-৩ ব্যবহারকারী, তাদের বলব এই মুহূর্তে আপনার সাধ্যে যতটুকু কুলাবে, তার থেকে বেশী পরিমানে RAM কিনুন। এক্ষেত্রে আপনি এই মুহূর্তে ৮ গিগা ডিডিআর-৩ RAM ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে আপনার মাদারবোর্ড সর্বোচ্চ যে বাস স্পিডের RAM সাপোর্ট করে, সম্ভব হলে সেটাই কেনার চেষ্টা করুন। আপনি যদি মাদারবোর্ডে ৪ গিগা RAM ব্যবহার করতে চান তবে ২ গিগা করে ২ টা RAM ব্যবহার করে ৪ গিগা করার চাইতে একটাই ৪ গিগা ব্যবহার করুন। এতে করে মাদাবোর্ডের RAM এর স্লট ফাঁকা থাকবে এবং পরবর্তীতে পিসি আপগ্রেড এর সময় ঐ ফাঁকা স্লট গুলোতে আরো RAM লাগিয়ে পিসির পারফর্মেন্স আরো বাড়িয়ে নিতে পারবেন। RAM এর ক্ষেত্রে ডুয়েল চ্যানেল, ট্রিপল চ্যানেল ও কোয়াড চ্যানেল- নামে কিছু টার্ম আছে। ব্যাপার গুলো না বুঝলে বিক্রেতার সাথে কথা বলে জেনে নিন। যদিও বাজারে এখন চায়না RAM দিয়ে ছড়াছড়ি। তারপরও আপনাকে পরামর্শ দিব চায়না RAM কে এভয়েড করে তাইওয়ান এর RAM ব্যবহার করতে। কারন বাজারে এই মুহূর্তে জাপানী RAM গুলো নাই বললেই চলে। RAM এর ব্রান্ড এর ক্ষেত্রে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে A-Data কে প্রেফার করি। তবে বর্তমানে কোন কোন মাদাবোর্ডের ম্যানুয়ালে বেটার সাপোর্টিং RAM এর ব্রান্ড এর ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে। RAM কেনার আগে আশা করছি ব্যাপারটা খেয়াল করবেন।







হার্ডডিস্ক ড্রাইভ:

পিসি রিলেটেড আমাদের যাবতীয় কাজকর্ম সব হার্ডডিস্কে সংরক্ষন করে রাখি। বর্তমানে কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে হার্ডডিস্কের পরিধিও বাড়ছে। যেমন: এখন একটা উইন্ডোজকে জায়গা দিতে গেলে মিনিমাম ২০ গিগা জায়গা দিতে হয়। সেই সাথে আরো অনেক প্রোগ্রাম, মুভি, অডিও-ভিডিও গান ও গেম বর্তমানে বিশাল জায়গা দখল করে নেয়। বর্তমানে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ পছন্দের জন্য অনেকেই স্পেসকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর তাই পিসি কিনতে গিয়ে অনেকেই শুধু হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর স্পেসটা সিলেক্ট করে দিয়েই তারা তাদের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করে। আসলে ব্যাপারটা যতটা সহজভাবে নেওয়া হয়, অতটা সহজ না। হার্ডডিস্কেরও কিছু ইন্টারনাল ব্যাপার স্যাপার আছে। যেমন: বাফার, ঘূর্নন গতি (যেটাকে আরপিএম দিয়ে প্রকাশ করা হয়), ল্যাটেন্সি, ডাটা ট্রান্সফার রেট, ইন্টারফেস ইত্যাদি। যারা এডভান্স ইউজার, তারা আশা করছি এসব ব্যাপারে নেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে আমার মত যারা কিছুটা আনাড়ি টাইপের, তারা এসব ব্যাপারে বিশ্বস্ত বিক্রেতার স্মরণাপন্ন হতে পারেন। তবে আপনারা অন্যান্ন ব্যবহারকারীদের মতামতের উপর নির্ভর করেও কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বর্তমানে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর দাম তুলনামূলক অনেক বেশী। তারপরও আমি লেভেল-১ ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিব এই মূহূর্তে ৫০০ গিগার নীচে হার্ডডিস্ক না নিতে। আর সাধ্যে কুলালে ১ টেরা নিতে পারেন। লেভেল-২ ও লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের জন্য ১ টেরা স্পেসের হার্ডডিস্ক ড্রাইভ নেওয়াটা মাষ্ট। তবে লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের বলব স্পেসের পাশাপাশি হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর ইন্টারনাল স্পেসিফিকেশন দেখে হার্ডডিস্ক কেনার চেষ্টা করুন। যেমন বর্তমানে বাজারে সাটা-২ ইন্টারফেসের ৭২০০ আরপিএম এর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ বেশ এভেইলেবল। তবে সাটা-৩ হার্ডডিস্কও বাজারে খুব শীঘ্রই চলে আসবে। লেভেল-৩ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা মাল্টিমিডিয়া ও এইচডি ভিডিও নিয়ে যারা প্রো লেভেলে কাজ করবেন তারা সম্ভব হলে ১০০০০ আরপিএম এর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কেনার চেষ্টা করুন। যদিও স্পেসের তুলনায় দাম অনেক অনেক বেশী। হার্ডডিস্ক এর ব্রান্ড ও মডেল হিসেবে এই মুহূর্তে Western Digital Caviar Black টা আমার মোষ্ট ফেবারিট। যদিও দামটা তুলনামূলক একটু বেশীই বলা চলে।


আর যারা অতি উৎসাহী, তারা সলিড স্টেট ড্রাইভের কথা স্বপ্নের মধ্যে রাখতে পারেন। কারন এটার ২৫০ গিগার যে দাম, সেটা দিয়ে ১ টেরা সাইজের আরো দশটা হার্ডডিস্ক কিনতে পারবেন।
B:-)






গ্রাফিক্স কার্ড (পিসিআই এক্সপ্রেস কার্ড):

অনেক ব্লগারই বেশ নড়েচড়ে বসেছেন মনে হয়!! গ্রাফিক্স কার্ড এর ব্যাপারে বর্তমানে বাজারে রাজত্ব করে আসছে মাত্র দুইটা কোম্পানী। এএমডি আর এনভিডিয়া। যদিও এরা মূলত গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য চিপসেট বানায়। আর সেই চিপসেট গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানী তাদের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো বানায়। বছরখানেক আগে হলে দুইটা আলাদা কোম্পানীর চিপসেট নিয়ে কমপেয়ার করে একটাকে বিজয়ী ঘোষনা করতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূন্ন ভিন্ন। এখন কেউ কারো চাইতে কম না। তবে আমার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা ও নেটের কিছু ফোরাম সাইট থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যতটুকু ধারনা করতে পেরেছি, তাতে মনে হয়েছে কম বাজেটের গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর মধ্যে এনভিডিয়ার চিপ দ্বারা প্রস্তুতকৃত কার্ডগুলোর পারফর্মেন্স তুলনামূলক ভালো। আর যদি বাজেট বেশী হয় তো সে ক্ষেত্রে রেডিওন চিপসেটের কার্ডগুলো তুলনামূলক ভালো। গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে চাইলে পুরো একটা পোষ্ট লিখে ফেলা য়ায়, কিন্তু সেগুলোতে এতটাই টেকনিকাল তথ্য থাকত যে অনেকেরই মাথার উপর দিয়ে চলে যেত!! যাইহোক, গ্রাফিক্স কার্ড সিলেকশনে আমি কোন লেভেল অনুসারে পরামর্শ দিবনা। কিন্তু কোন কাজের জন্য গ্রাফিক্স কার্ডের কি কি বৈশিষ্ঠ্য থাকা উচিত সেটা নিয়ে আলোচনা করব।

অনেকেই গ্রাফিক্স কার্ডে থাকা মেমরী নিয়ে তাদের কার্ডের পারফর্মেন্স পরিমাপ করে থাকে। যেটা একেবারেই ভুল। একটা কার্ড কতটা ভালো পারফর্ম করবে সেটা যে কয়টা বিষয়ের উপর নির্ভর করে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন হচ্ছে- চিপসেট!! কার্ডের প্রাণ হচ্ছে এইটা!! এটা কতটা শক্তিশালী, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই: রেডিওন ৪৬৭০ চিপসেটের ১ গিগা একটা কার্ডের চাইতে অবশ্যই একটা রেডিওন ৪৮৫০ চিপসেটের ৫১২ মেগাবাইট কার্ড অনেক ভালো পারফর্ম করবে। তবে আপনি যদি বড় মনিটরে বেশী রেজুলেশনে গেম খেলেন তো তখন কার্ডের মেমরী খুবই গুরত্বপূর্ন। সেই সাথে কার্ডে থাকা বিভিন্ন পোর্ট সম্পর্কেও খেয়াল রাখতে হবে, যেমন- ডিভিআই বা এইচডিএমআই পোর্ট, ডিসপ্লে পোর্ট, ভিজিএ, টিভি আউটপুট ইত্যাদি। আরো কিছু প্রো লেভেলের ব্যাপার গুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার ছিল কিন্তু ব্যাপারগুলো অনেকেরই কাছে জটিল মনে হতে পারে, তাই আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি। গ্রাফিক্স কার্ডের ব্রান্ড হিসেবে আমার পছন্দের একেবারেই প্রথম অবস্থানে রয়েছে- ASUS, Gigabyte, Sapphire.








সাউন্ড কার্ড:

যারা মুভি বেশী দেখেন, গেম খেলেন, সর্বোপরি ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি আশা করেন, তাদের বলব মাদারবোর্ডের বিল্টইন সাউন্ড কার্ডের মায়া ত্যাগ করে মোটামুটি দামের মধ্যে প্রায় ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্যে সাউন্ড কার্ড কিনে নিতে পারেন। তবে যারা আরো একটু আশা করেন তাদের বলব ৭০০০-৮০০০ টাকার মধ্যে ক্রিয়েটিভের এক্স-ফাই সিরিজের একটা সাউন্ড কার্ড কিনে নিতে পারেন। আমার দৃষ্টিতে এটা এমন একটা ইনভেষ্টমেন্ট, যেটার আউটপুট আপনার কাছে কখনোই পুরাতন মনে হবেনা। অর্থ্যাৎ আপনাকে যেমন বিভিন্ন গেমের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড এর চিন্তা করতে হয় কিন্তু এই সাউন্ড কার্ডের ক্ষেত্রে তা হবেনা আশা করছি।







অপটিকাল ড্রাইভ:

বুঝলেন না এটা জিনিস?? আপনারা কেসিং এ সাথে যে ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করেন, সেটাকে সার্বিক ভাবে অপটিকাল ড্রাইভ বলে। আপনি যে লেভেলেরই হোন না কেন, আপনার জন্য এই মুহূর্তে একটা ডিভিডি রাইটার কেনা মাষ্ট!! কারন এগুলোর দামও তেমন বেশী না। তবে যারা লেভেল-৩ এ আছেন, তাদের মধ্যে যারা সৌখিন এবং খরচ করার মত যথেষ্ট সামর্থ্য আছে, তারা চাইলে ব্লু-রে ড্রাইভ কিনতে পারেন। দাম প্রায় ১২০০০ টাকা হতে পারে। অপটিকাল ড্রাইভ এর ব্রান্ড হিসেবে অনেকেই অনেক নামই সাজেষ্ট করতে পারেন। তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ASUS, LITEON পছন্দ করি।







সিপিইউ কুলার:

নামটা কি একটু বিদঘুটে মনে হচ্ছে?? একটু বুঝিয়ে বললে আশা করি বুঝতে পারবেন। আপনার প্রসেসর এর মাথা ঠান্ডা রাখতে এটার উপর যে কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, সেটাকেই সিপিইউ কুলার বলা হয়। এখন হয়তোবা ভাবতে শুরু করে দিলেন যে, আরে!! এটা তো প্রসেসর কেনার সময় সাথে থাকেই। নতুন করে কেনার আর কি দরকার!! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। তবে প্রসেসরের সাথে যে কুলারটা পাওয়া যায়, সেটা কতটা কার্যকর এটা আশা করছি অনেকেই ধারনা করতে পারবেন। আপনার সখের পিসি কতটা ভালো পারফর্ম করবে সেটা নির্ভর করবে আপনার পিসির হার্ডওয়ার গুলো কতটা ঠান্ডা থাকবে!! আর একটা ব্যাপার জেনে রাখুন, আপনার পিসির হার্ডওয়্যারের অত্যাধিক তাপমাত্রা সেগুলোর স্থায়িত্ত্ব দিন দিন কমিয়ে দেয়। লেভেল-১ ও ২ কে বলব আপনাদের জন্য আলাদা কোন সিপিইউ কুলার এর দরকার নেই। প্রসেসর এর সাথে যেটা পেয়েছেন, সেটাই আপনার জন্য যথেষ্ঠ। তবে সখ করে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবেনা। তবে যারা লেভেল-৩ এ আছেন, তাদের বলব- প্রসেসর এর সাথে দেওয়া সিপিইউ কুলার টা ব্যবহার না করে বাজেটে কুলালে আপনারা ন্যুনতম ৪৫০০-৫০০০ টাকার মধ্যে আলাদা একটা সিপিইউ কুলার কিনে নিন। বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে Thermaltake ব্রান্ডের কিছু সিপিইউ কুলার পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।







পাওয়ার সাপ্লাই:

অনেকেই বলতে পারেন, এটা নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কি দরকার!! কেসিং কিনলে সাথে তো পাওয়া যাবেই!! যারা এরকম ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন তাদের বলছি, একটু আপডেট হোন!! আপনি কেসিং এর সাথে যে পাওয়ার সাপ্লাই টা পেয়েছেন সেটার উপর বিশ্বাস পুরোপুরি না রাখাই ভালো। কারন পাওয়ার সাপ্লাই এর গায়ে ৪৫০ ওয়াট লেখা থাকলেও আসলে এগুলো ২৫০ ওয়াটের বেশী হবার কথা নয়। আর কোয়ালিটি তেমন ভালো নয়। আর তাই আপনারা যারা পিসি কিনবেন, তারা তাদের হার্ডওয়ারের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী অর্থ্যাৎ আপনার পিসির হার্ডওয়ার গুলোর যতটুকু পাওয়ার লাগবে তার সাথে আরো ৫০ ওয়াট এক্সট্রা হিসেব করে নিয়ে আলাদা ভালো একটা পাওয়ার সাপ্লাই কিনুন। তবে যারা পাওয়ারফুল প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করবেন, তারা তাদের হার্ডওয়ারের রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী পাওয়ার সাপ্লাই কেনার চেষ্টা করুন। এখনকার মোটামুটি দামের মধ্যে যে গ্রাফিক্স কার্ডগুলো আছে সেগুলোর বেশীর ভাগের জন্যই আলাদা পাওয়ার কানেক্টরের দরকার হয়। আর তাই পাওয়ার সাপ্লাই কেনার সময় সেগুলোর কানেক্টরের ব্যাপারের একটু খেয়াল রাখুন।

যারা লেভেল-১ এ আছেন, ধরেই নিলাম তাদের কাজের পরিধি তেমন বিশাল নয় এবং বাজেটও তেমন নয়, তারা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভালো ব্রান্ডের কেসিং কিনুন। আশা করছি এ ব্যাপারে নীচের দিকে আলোচনা করব।


বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে Thermaltake, Gigabyte এর মত কিছু ভালো ব্রান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে। আপনার হার্ডওয়ারের চাহিদা অনুযায়ী খোঁজ খবর নিয়ে বাজেটে যেটা কুলায় সেরকম একটা পাওয়ার সাপ্লাই কিনে নিতে পারেন। এ ব্যাপারে আরো একটু টেকনিক্যাল তথ্য দেবার ছিল। কিন্তু এমেচার অনেকের কাছেই ব্যাপারটা জটিল মনে হতে পারে, তাই আপাতত দিলাম না।







কেসিং:

আমার তো মনে হয় অনেক মানুষই শুধু এটার ডিজাইন দেখে পছন্দ করে থাকেন। কেউ কেউ তো এটার ব্যাপারে চরম উদাসীন। এ ব্যাপারে আমার পরামর্শ হচ্ছে, কারো কথায় কান না দিয়ে যতটা বড় পারা যায় ততটা বড় সাইজের কেসিং কিনুন। যাতে কেসিং এর ভেতরে আপনার সেটআপ করা হার্ডওয়ারগুলো একটু হলেও দম ফেলার সুযোগ পায়। অনেককেই দেখি ব্রিফকেস আকারের কেসিং কিনতে। যেটা একেবারেই ভুল। আপনার কেসিং এর মধ্যে যদি বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তো হার্ডওয়ারগুলো খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যেতে বাধ্য!! এমন একটা কেসিং পছন্দ করুন যেটাতে যথেষ্ট স্পেস ও কুলিং সিস্টেম রয়েছে, সেই সাথে আলাদা ভাবে কয়েকটা কুলিং ফ্যান লাগানোর মত সুব্যবস্থা রয়েছে- এরকম ধরনের কেসিং কেনার চেষ্টা করুন। যারা লেভেল-৩ এ আছেন তাদের বলব ভালো মানের বড়সড় একটা কেসিং কিনুন, যেটাতে লিকুইড কুলিং এর পাশাপাশি উপরে বর্ণিত অন্য সব ব্যবস্থা আছে। দাম হয়তোবা বেশী পড়ে যেতে পারে। পিসির হার্ডওয়ারের কুলিং এর কথা চিন্তা করলে এটাই বেষ্ট অপশন। বাংলাদেশের বাজারে Thermaltake ব্রান্ডের বেশ কিছু কেসিং পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোর মধ্যে কয়েকটা বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলী। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

যারা লেভেল-১ এ আছেন তাদের বলব ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্যে ভালো কোন ব্রান্ডের কেসিং কিনে ফেলুন। যেটাতে মোটামুটি ভালো মানের ২৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়া থাকে। এক্ষেত্রে আপনি ব্রান্ড হিসেবে Space বা Fox edge কে বেছে নিতে পারেন।






মনিটর:

মনিটর কেনার ব্যাপারে গাইডলাইন দিয়ে আমাদের ব্লগার "জর্জিস" ভাই একটা পোষ্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন।
আশা করছি উনার লেখাটা পড়ে এ ব্যাপারে আপনারা বিস্তারিত ধারনা পাবেন।

============================================


অনেক তো হল। এবার আসি পিসি কেনার আগের কিছু প্রস্তুতির ব্যাপারে!! কিছু টিপস্ আছে, যেগুলো পিসি কেনার আগে মাথায় রাখলে ভবিষ্যতে অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়....। তাহলে আসুন জানি কি সেই টিপস্ গুলো...........।



ধৈর্য ধরে তথ্য সংগ্রহ করুন:
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি পিসি কেনার সিদ্ধান্ত নেবার পরে কেমন জানি আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেনা। যেটা একেবারেই বোকামীর লক্ষন। আমি পরামর্শ দিব আপনি যে কনফিগারেশনেরই পিসি কিনতে চান না কেন, তা কেনার আগে বাজারে গিয়ে হার্ডওয়ারগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করুন। এমনও হতে পারে আপনার কনফিগারেশন যদি ফিক্সড করা না থাকে তো বাজারে যাওয়ার পরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনি নিজেই নিজের পিসি কনফিগারেশন ঠিক করে নিতে পারবেন।

নিকট ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পিসির কনফিগারেশন ঠিক করুন:
অনেকেই পরামর্শ দিবে যে, আপনার বর্তমানের কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে পিসি কনফিগারেশন ঠিক করুন। কথাটার সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। আমার দৃষ্টিতে আপনি আজকে কি কাজে পিসি ব্যবহার করবেন, সেই চিন্তার পাশাপাশি নিকট ভবিষ্যতে পিসি দিয়ে কি কাজ করতে পারেন, সেই ব্যাপারেও আগাম চিন্তা করে পিসির কনফিগারেশন ঠিক করুন। তবে এক্ষেত্রে বাজেটের দিকেও খেয়াল রাখুন। :)

সঠিক বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান সিলেকশনে সতর্ক হোন:
আপনি কোথায় থেকে অর্থ্যাৎ কোন বিক্রেতার কাছ থেকে পিসি কিনবেন, এটা সিলেকশনে একটু সর্ত হোন। কারন আমার দৃষ্টিতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। যে বিক্রেতা বা প্রতিষ্টান অনেকদিন ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে, যাদের আফটার সেলস সার্ভিস ভালো, ওয়ারেন্টি সাপোর্ট অনেক বেটার- তাদের কাছ থেকে পিসি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এসব তথ্য আপনি অন্য পিসি ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাক থেকেই পেতে পারেন। এসব কথা এজন্যই বললাম যে, ভুল বিক্রেতা সিলেকশন করে পরে কোন সমস্যায় পড়ে সাপোর্ট চাইতে গেলে যেন বিক্রেতার গোমড়া মুখ দেখতে না হয়।

ওয়ারেন্টির ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলুন:
পিসি কেনার আগে তার হার্ডওয়ার গুলোর ওয়ারেন্টির ব্যাপারে খোলাখুলি ভাবে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করে এর সাথে সম্পর্কিত সব কিছু জেনে নিন। যেমন: কোন হার্ডওয়ারের ওয়ারেন্টি কত দিনের? ওয়ারেন্টি পাওয়ার টার্মস এন্ড কন্ডিশন কি? ওয়ারেন্টি সাপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগবে? ওয়ারেন্টিতে কোন হার্ডওয়ার পুরোপুরি চেন্জ করে দিবে নাকি রিপেয়ার করে দিবে? ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি কোন প্রোডাক্টের সাথে ওয়ারেন্টি কার্ড থাকে তো সেগুলোও সংগ্রহ করে সংরক্ষন করুন।

হার্ডওয়ারের ড্রাইভার সিডি ও ম্যানুয়াল গুলো বুঝে নিন:
পিসি কেনার সময় হার্ডওয়ারে সাথে দেওয়া বিভিন্ন রকম সিডি ও ম্যানুয়াল গুলো বুঝে নিন। কারন এগুলো ভবিষ্যতে যে কোন সময় কাজে লাগতে পারে। সেই সাথে যে দোকান থেকে পিসি কিনছেন তাদের কাছ কাছ থেকে ক্রয়ের ক্যাশ মেমো এবং এর সাথে রিলেটেড যাবতীয় ডকুমেন্ট সঠিক ভাবে বুঝে নিন।

প্রোডাক্টের দামের চাইতে কোয়ালিটির দিকে বেশী গুরুত্ব দিন:
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি একই মডেলের বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রোডাক্টের মধ্যে দামের পার্থক্য দেখা যায়। দাম একটু বেশী হলেও কোয়ালিটি দেখে প্রোডাক্ট কিনুন। আর এক্ষেত্রে খুবই সহজ সমীকরন হচ্ছে যে, বাজারের অখ্যাত বা অল্প পরিচিত ব্রান্ডকে এভয়েড করার চেষ্টা করুন।

মোটামুটি অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিন:
আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আপনি পিসি কিনতে যাবার সময় এক্সপার্ট কাউকে খুঁজে না পেলে মোটামুটি পিসির হার্ডওয়ার সম্পর্কে জানে বা ধারনা রাখে, এমন কাউকে সাথে নিন।


উপরের টিপস্ গুলো আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সংগ্রহ করেছি। তাই ভাবলাম যারা পিসি কিনতে যাবেন বা এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাদের সাথে শেয়ার করতে করি।
:)


*******************************************************************


পরিশিষ্ট:
আমি ব্যক্তিগত জীবনে মোটামুটি অলস টাইপের একজন ছেলে। তারপরও ব্লগে আসার পরে আমার ইচ্ছা ছিল কিছু ব্লগারদের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে "পিসি কেনার গাইডলাইন" নিয়ে এরকম একটা লেখা প্রকাশ করার। আর সেই ইচ্ছা থেকে আজ থেকে প্রায় ৩ মাস আগে এই লেখাটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত আলসেমী আর কিছু তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের সহজবোধ্যতার কথা চিন্তা করে প্রতিদিনই লেখাটিতে মডিফিকেশন এনেছি। যাতে করে এমেচার ব্লগাররা এটা থেকে উপকৃত হতে পারেন। পোষ্টের কন্টেন্টে জটিলতা কমাতে গিয়ে ইচ্ছা করেই অনেক কমপ্লিকেটেড টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার করিনি এবং অনেক কাঁটছাট করেছি। অতঃপর আজকেই লেখাটাকে কিছুটা হলেও পূর্ণাঙ্গ মনে হল বলে ব্লগে প্রকাশ করে দিলাম। আমার এই অগোছালো টাইপের লেখা পড়ে যদি একজন ব্লগারও উপকৃত হন তো, আমি আমার পরিশ্রমকে সার্থক বলে মনে করব। পরিশেষে আমার এই লেখাটা যারা ধৈর্য্য সহকারে পড়লেন, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি ভালো থাকবেন সবাই।