Friday, October 11, 2013

কারো কম্পিউটারে অনুমতি ছাড়া ঢুকলে ১৪ বছর জেল


নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটারে তার অনুমতি ব্যাতিরেকে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন তাহলে আপনার ৭ থেকে ১৪ বছরের জেল হতে পারে। শুধু তাই নয় এই অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আপনি জামিনও পাবেন না। এমনকি বিনা পরোয়ানায় পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারবে। ২০১৩ সালে সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এ এই বিধান করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি বিপজ্জনক আইন বলে অভিহিত করেছেন।আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর মাধ্যমে তরুণ সমাজকে একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই আইনের সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে ৫৭ ধারা। এই ধারাকে এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যার কারণে ইন্টারনেটের যে কোন কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রের অনলাইনে বা ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশ বা সম্প্রচার করা কোন কিছু মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলে একই দণ্ড হবে। আপনার বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা অভিযোগও হয় তবু মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনার জামিন মিলছে না।
বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৬ সালে জাতীয় সংসদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন পাস হয়। সে সময় এই আইনে সর্বনিম্ন কারাদণ্ডের সময়সীমা ছিল না। ফলে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী যে কোন ধরনের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা আদালতের ছিলো। কিন্তু ২০১৩ সালে সংশোধিত এই আইনে যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত বছর। ২০০৬ সালের মূল আইনে আদালতের ওপর জামিনের ক্ষমতা ন্যস্ত ছিলো। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আদালত যে কোন পর্যায়ে আসামিকে জামিন দিতে পারত। কিন্তু ২০১৩ সালের আইনে এই আইনের অধীনে অপরাধসূমহ অজামিনযোগ্য এবং আমলযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আপনি যদি বৃদ্ধ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা নির্দোষও হন তাহলে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন মিলছে না। এছাড়া অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় আদালতের পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মূল সমস্যা (প্রতিবন্ধকতা) হচ্ছে ৫৭ ধারা। এই আইনে অপরাধ সংঘটনের যে বর্ণনা দেয়া আছে তাতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অর্থাত্ ৫৭ ধারায় এমনভাবে অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যেমন ইন্টারনেটে যে কোন কর্মকাণ্ডকেই এই আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েই আছে। এরকম একটি আইনে এতদিন যে রক্ষাকবচ (সেফগার্ড) ছিল এই সরকারের আনীত সংশোধনীর ফলে সেটিও উঠে গেছে। অর্থাত্ এতদিন মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হতো। এখন আর অনুমতির প্রয়োজন লাগবে না।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, মানুষের বাক স্বাধীনতার জায়গাটি- সংবিধানে যেটিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে সেই অধিকার হরণ হয়েছে চরমভাবে। এই আইন আপনাকে ইন্টারনেটে ব্লগিং বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বারণ করছে না। কিন্তু যখন আপনি একাজগুলো করতে যাবেন তখনই আপনার মনে এক ধরনের ভীতি কাজ করবে। ওই ভীতি কাজ করা বা ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাটাই তো বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। বাক স্বাধীনতার মত যেসব মৌলিক অধিকার আছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার মধ্যে কি ধরনের ভীতি কাজ করছে। আমি তো মনে করি এই আইনে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে আছে। যা আমাদের বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। যেহেতু বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে সেহেতু আইনটি সংবিধান বিরোধী। এক কথায় যদি বলি তাহলে এই আইনের ৫৭ ধারা সংবিধান বিরোধী। এই সংবিধান বিরোধী আইনে পুলিশকে দেয়া হয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা। যা মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করবে।
সংবিধানে বলা আছে আইনের চোখে সবাই সমান। এখন বর্তমান আইনানুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইনে মিথ্যা কোন কিছু প্রকাশ করা হলে ন্যূনতম সাজা হবে ৭ বছর।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, আগের আইনে সর্বোচ্চ সাজার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু ন্যূনতম সাজার বিষয়টি ছিলো না। কারণ জুতা চুরির জন্য তো কারো ফাঁসি হতে পারে না! চুরির অপরাধের জন্য যে সাজা সেই সাজাই তার প্রাপ্য হবে। কিন্তু এখন যদি আপনি বলেন, ফেসবুকে আপনার দেয়া স্ট্যাটাসের ফলে কারো মানহানি হয়েছে তাহলে মানহানির পরিমাণ অনুযায়ী সেই পরিমাণ শাস্তি হতে পারত। মানহানি কতটুকু হয়েছে সেটি তো আদালতের বিচার্য বিষয়। কিন্তু এই আইনে ন্যূনতম সাজা ৭ বছর উল্লেখ করে দিয়ে কোর্টের হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। কারণ কাউকে যদি সাজা দিতে হয়, তাহলে তাকে ৭ বছর সাজা দিতে হবে। ন্যূনতম সাজার বিধান করে নাগরিকদের এক ধরনের অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সংশোধনীতে আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য এই আইন। কিন্তু আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে কিভাবে আপনি এর ব্যবহারকে বৃদ্ধি করবেন? কিভাবে জনগণকে ডিজিটালাইজেশনে উত্সাহিত করবেন? যখন ইন্টারনেট ব্লগিং বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে শাস্তি হবে, তখন কেউ কি আর দ্বিগুণ উত্সাহ নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন?
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, সিলেকটিভ অ্যাপলিকেশন অব ল এর তৈরি হয়েছে এই সংশোধনীর ফলে। কারণ আপনার যাকে পছন্দ হলো না তাকে ধরলেন এবং সাজার ব্যবস্থা করলেন আর যাকে পছন্দ হল তাকে ধরলেন না- এতে করে আপনি রিপ্রেশনের জন্য আইনটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন। কিন্তু আইনের আসল উদ্দেশ্য কখনোই এটি হওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে জনগণের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। যা গণতন্ত্রের জন্য কখনো শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না। মনে হচ্ছে সরকারের শেষ মুহূর্তে এসে সরকারের মধ্যেই কিছু কিছু লোক এমন সব পদক্ষেপ নেয়াচ্ছে যেগুলো আসলেই জনবিরোধী।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তরুণ প্রজন্ম। আইনে সংশোধনী এনে এই প্রজন্মকে ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। অর্থাত্ একটি প্রজন্মকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। এই আইন দিয়ে তো কোন কিছু অর্জন করতে পারবেন না। কিন্তু জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করলেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এম আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার সমাজ বিনির্মাণে এই আইন একটি বড় বাধা হয়ে দেখা দেবে। পুলিশকে যে অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে পুলিশকে আরো বেপরোয়া করবে। পুলিশ চাইলে যে কাউকেই এই আইনে মামলা দিয়ে দীর্ঘকাল কারাগারে রাখতে পারবে।
এই আইনের অপরাধসূমহ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪ থেকে ৬৫ ধারা পর্যন্ত কোন কোন কর্মকাণ্ড অপরাধ তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে-
(ক) তার ফাইলে রক্ষিত তথ্য বিনষ্ট করার বা ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে ঐ কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন;
(খ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে কোন উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার বা তথ্য বা তার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন বা স্থানান্তরযোগ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় রক্ষিত বা জমাকৃত তথ্য (removable storage medium) বা উপাত্তসহ ঐ কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোন উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন;
(গ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ধরনের কম্পিউটার সংক্রামক বা দূষক বা কম্পিউটার ভাইরাস প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন;
(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত, কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা ঐ কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোন প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করার চেষ্টা করেন;
(ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন বা করার চেষ্টা করেন;
(চ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোন বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন উপায়ে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করেন বা করার চেষ্টা করেন;
৫৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহূত কম্পিউটার সোর্স কোড, গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করেন, বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ঐ কোড, প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন এবং ঐ সোর্স কোডটি যদি আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন দ্বারা সংরক্ষণযোগ্য বা রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য হয়, তাহলে তাহার এই কাজ হবে একটি অপরাধ?
৫৭ ধারায় বলা আছে, (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সমপ্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ কাজে আগ্রহী হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ হবে একটি অপরাধ?

কারো কম্পিউটারে অনুমতি ছাড়া ঢুকলে ১৪ বছর জেল


নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটারে তার অনুমতি ব্যাতিরেকে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন তাহলে আপনার ৭ থেকে ১৪ বছরের জেল হতে পারে। শুধু তাই নয় এই অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আপনি জামিনও পাবেন না। এমনকি বিনা পরোয়ানায় পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারবে। ২০১৩ সালে সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এ এই বিধান করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি বিপজ্জনক আইন বলে অভিহিত করেছেন।আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর মাধ্যমে তরুণ সমাজকে একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই আইনের সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে ৫৭ ধারা। এই ধারাকে এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যার কারণে ইন্টারনেটের যে কোন কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রের অনলাইনে বা ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশ বা সম্প্রচার করা কোন কিছু মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলে একই দণ্ড হবে। আপনার বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা অভিযোগও হয় তবু মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনার জামিন মিলছে না।
বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৬ সালে জাতীয় সংসদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন পাস হয়। সে সময় এই আইনে সর্বনিম্ন কারাদণ্ডের সময়সীমা ছিল না। ফলে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী যে কোন ধরনের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা আদালতের ছিলো। কিন্তু ২০১৩ সালে সংশোধিত এই আইনে যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত বছর। ২০০৬ সালের মূল আইনে আদালতের ওপর জামিনের ক্ষমতা ন্যস্ত ছিলো। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আদালত যে কোন পর্যায়ে আসামিকে জামিন দিতে পারত। কিন্তু ২০১৩ সালের আইনে এই আইনের অধীনে অপরাধসূমহ অজামিনযোগ্য এবং আমলযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আপনি যদি বৃদ্ধ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা নির্দোষও হন তাহলে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন মিলছে না। এছাড়া অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় আদালতের পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মূল সমস্যা (প্রতিবন্ধকতা) হচ্ছে ৫৭ ধারা। এই আইনে অপরাধ সংঘটনের যে বর্ণনা দেয়া আছে তাতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অর্থাত্ ৫৭ ধারায় এমনভাবে অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যেমন ইন্টারনেটে যে কোন কর্মকাণ্ডকেই এই আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েই আছে। এরকম একটি আইনে এতদিন যে রক্ষাকবচ (সেফগার্ড) ছিল এই সরকারের আনীত সংশোধনীর ফলে সেটিও উঠে গেছে। অর্থাত্ এতদিন মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হতো। এখন আর অনুমতির প্রয়োজন লাগবে না।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, মানুষের বাক স্বাধীনতার জায়গাটি- সংবিধানে যেটিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে সেই অধিকার হরণ হয়েছে চরমভাবে। এই আইন আপনাকে ইন্টারনেটে ব্লগিং বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বারণ করছে না। কিন্তু যখন আপনি একাজগুলো করতে যাবেন তখনই আপনার মনে এক ধরনের ভীতি কাজ করবে। ওই ভীতি কাজ করা বা ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাটাই তো বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। বাক স্বাধীনতার মত যেসব মৌলিক অধিকার আছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার মধ্যে কি ধরনের ভীতি কাজ করছে। আমি তো মনে করি এই আইনে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে আছে। যা আমাদের বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। যেহেতু বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে সেহেতু আইনটি সংবিধান বিরোধী। এক কথায় যদি বলি তাহলে এই আইনের ৫৭ ধারা সংবিধান বিরোধী। এই সংবিধান বিরোধী আইনে পুলিশকে দেয়া হয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা। যা মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করবে।
সংবিধানে বলা আছে আইনের চোখে সবাই সমান। এখন বর্তমান আইনানুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইনে মিথ্যা কোন কিছু প্রকাশ করা হলে ন্যূনতম সাজা হবে ৭ বছর।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, আগের আইনে সর্বোচ্চ সাজার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু ন্যূনতম সাজার বিষয়টি ছিলো না। কারণ জুতা চুরির জন্য তো কারো ফাঁসি হতে পারে না! চুরির অপরাধের জন্য যে সাজা সেই সাজাই তার প্রাপ্য হবে। কিন্তু এখন যদি আপনি বলেন, ফেসবুকে আপনার দেয়া স্ট্যাটাসের ফলে কারো মানহানি হয়েছে তাহলে মানহানির পরিমাণ অনুযায়ী সেই পরিমাণ শাস্তি হতে পারত। মানহানি কতটুকু হয়েছে সেটি তো আদালতের বিচার্য বিষয়। কিন্তু এই আইনে ন্যূনতম সাজা ৭ বছর উল্লেখ করে দিয়ে কোর্টের হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। কারণ কাউকে যদি সাজা দিতে হয়, তাহলে তাকে ৭ বছর সাজা দিতে হবে। ন্যূনতম সাজার বিধান করে নাগরিকদের এক ধরনের অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সংশোধনীতে আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য এই আইন। কিন্তু আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে কিভাবে আপনি এর ব্যবহারকে বৃদ্ধি করবেন? কিভাবে জনগণকে ডিজিটালাইজেশনে উত্সাহিত করবেন? যখন ইন্টারনেট ব্লগিং বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে শাস্তি হবে, তখন কেউ কি আর দ্বিগুণ উত্সাহ নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন?
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, সিলেকটিভ অ্যাপলিকেশন অব ল এর তৈরি হয়েছে এই সংশোধনীর ফলে। কারণ আপনার যাকে পছন্দ হলো না তাকে ধরলেন এবং সাজার ব্যবস্থা করলেন আর যাকে পছন্দ হল তাকে ধরলেন না- এতে করে আপনি রিপ্রেশনের জন্য আইনটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন। কিন্তু আইনের আসল উদ্দেশ্য কখনোই এটি হওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে জনগণের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। যা গণতন্ত্রের জন্য কখনো শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না। মনে হচ্ছে সরকারের শেষ মুহূর্তে এসে সরকারের মধ্যেই কিছু কিছু লোক এমন সব পদক্ষেপ নেয়াচ্ছে যেগুলো আসলেই জনবিরোধী।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তরুণ প্রজন্ম। আইনে সংশোধনী এনে এই প্রজন্মকে ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। অর্থাত্ একটি প্রজন্মকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। এই আইন দিয়ে তো কোন কিছু অর্জন করতে পারবেন না। কিন্তু জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করলেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এম আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার সমাজ বিনির্মাণে এই আইন একটি বড় বাধা হয়ে দেখা দেবে। পুলিশকে যে অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে পুলিশকে আরো বেপরোয়া করবে। পুলিশ চাইলে যে কাউকেই এই আইনে মামলা দিয়ে দীর্ঘকাল কারাগারে রাখতে পারবে।
এই আইনের অপরাধসূমহ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪ থেকে ৬৫ ধারা পর্যন্ত কোন কোন কর্মকাণ্ড অপরাধ তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে-
(ক) তার ফাইলে রক্ষিত তথ্য বিনষ্ট করার বা ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে ঐ কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন;
(খ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে কোন উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার বা তথ্য বা তার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন বা স্থানান্তরযোগ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় রক্ষিত বা জমাকৃত তথ্য (removable storage medium) বা উপাত্তসহ ঐ কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোন উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন;
(গ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ধরনের কম্পিউটার সংক্রামক বা দূষক বা কম্পিউটার ভাইরাস প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন;
(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত, কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা ঐ কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোন প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করার চেষ্টা করেন;
(ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন বা করার চেষ্টা করেন;
(চ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোন বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন উপায়ে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করেন বা করার চেষ্টা করেন;
৫৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহূত কম্পিউটার সোর্স কোড, গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করেন, বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ঐ কোড, প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন এবং ঐ সোর্স কোডটি যদি আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন দ্বারা সংরক্ষণযোগ্য বা রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য হয়, তাহলে তাহার এই কাজ হবে একটি অপরাধ?
৫৭ ধারায় বলা আছে, (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সমপ্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ কাজে আগ্রহী হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ হবে একটি অপরাধ?

কারো কম্পিউটারে অনুমতি ছাড়া ঢুকলে ১৪ বছর জেল


নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটারে তার অনুমতি ব্যাতিরেকে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন তাহলে আপনার ৭ থেকে ১৪ বছরের জেল হতে পারে। শুধু তাই নয় এই অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আপনি জামিনও পাবেন না। এমনকি বিনা পরোয়ানায় পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করতে পারবে। ২০১৩ সালে সংশোধিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এ এই বিধান করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি বিপজ্জনক আইন বলে অভিহিত করেছেন।আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর মাধ্যমে তরুণ সমাজকে একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই আইনের সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে ৫৭ ধারা। এই ধারাকে এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যার কারণে ইন্টারনেটের যে কোন কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সংবাদপত্রের অনলাইনে বা ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশ বা সম্প্রচার করা কোন কিছু মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলে একই দণ্ড হবে। আপনার বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা অভিযোগও হয় তবু মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনার জামিন মিলছে না।
বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৬ সালে জাতীয় সংসদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন পাস হয়। সে সময় এই আইনে সর্বনিম্ন কারাদণ্ডের সময়সীমা ছিল না। ফলে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী যে কোন ধরনের দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা আদালতের ছিলো। কিন্তু ২০১৩ সালে সংশোধিত এই আইনে যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত বছর। ২০০৬ সালের মূল আইনে আদালতের ওপর জামিনের ক্ষমতা ন্যস্ত ছিলো। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আদালত যে কোন পর্যায়ে আসামিকে জামিন দিতে পারত। কিন্তু ২০১৩ সালের আইনে এই আইনের অধীনে অপরাধসূমহ অজামিনযোগ্য এবং আমলযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আপনি যদি বৃদ্ধ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা নির্দোষও হন তাহলে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন মিলছে না। এছাড়া অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় আদালতের পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মূল সমস্যা (প্রতিবন্ধকতা) হচ্ছে ৫৭ ধারা। এই আইনে অপরাধ সংঘটনের যে বর্ণনা দেয়া আছে তাতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অর্থাত্ ৫৭ ধারায় এমনভাবে অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যেমন ইন্টারনেটে যে কোন কর্মকাণ্ডকেই এই আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েই আছে। এরকম একটি আইনে এতদিন যে রক্ষাকবচ (সেফগার্ড) ছিল এই সরকারের আনীত সংশোধনীর ফলে সেটিও উঠে গেছে। অর্থাত্ এতদিন মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হতো। এখন আর অনুমতির প্রয়োজন লাগবে না।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, মানুষের বাক স্বাধীনতার জায়গাটি- সংবিধানে যেটিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে সেই অধিকার হরণ হয়েছে চরমভাবে। এই আইন আপনাকে ইন্টারনেটে ব্লগিং বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বারণ করছে না। কিন্তু যখন আপনি একাজগুলো করতে যাবেন তখনই আপনার মনে এক ধরনের ভীতি কাজ করবে। ওই ভীতি কাজ করা বা ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাটাই তো বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। বাক স্বাধীনতার মত যেসব মৌলিক অধিকার আছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার মধ্যে কি ধরনের ভীতি কাজ করছে। আমি তো মনে করি এই আইনে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে আছে। যা আমাদের বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করছে। যেহেতু বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে সেহেতু আইনটি সংবিধান বিরোধী। এক কথায় যদি বলি তাহলে এই আইনের ৫৭ ধারা সংবিধান বিরোধী। এই সংবিধান বিরোধী আইনে পুলিশকে দেয়া হয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা। যা মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করবে।
সংবিধানে বলা আছে আইনের চোখে সবাই সমান। এখন বর্তমান আইনানুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইনে মিথ্যা কোন কিছু প্রকাশ করা হলে ন্যূনতম সাজা হবে ৭ বছর।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, আগের আইনে সর্বোচ্চ সাজার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু ন্যূনতম সাজার বিষয়টি ছিলো না। কারণ জুতা চুরির জন্য তো কারো ফাঁসি হতে পারে না! চুরির অপরাধের জন্য যে সাজা সেই সাজাই তার প্রাপ্য হবে। কিন্তু এখন যদি আপনি বলেন, ফেসবুকে আপনার দেয়া স্ট্যাটাসের ফলে কারো মানহানি হয়েছে তাহলে মানহানির পরিমাণ অনুযায়ী সেই পরিমাণ শাস্তি হতে পারত। মানহানি কতটুকু হয়েছে সেটি তো আদালতের বিচার্য বিষয়। কিন্তু এই আইনে ন্যূনতম সাজা ৭ বছর উল্লেখ করে দিয়ে কোর্টের হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। কারণ কাউকে যদি সাজা দিতে হয়, তাহলে তাকে ৭ বছর সাজা দিতে হবে। ন্যূনতম সাজার বিধান করে নাগরিকদের এক ধরনের অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সংশোধনীতে আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য এই আইন। কিন্তু আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে কিভাবে আপনি এর ব্যবহারকে বৃদ্ধি করবেন? কিভাবে জনগণকে ডিজিটালাইজেশনে উত্সাহিত করবেন? যখন ইন্টারনেট ব্লগিং বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে শাস্তি হবে, তখন কেউ কি আর দ্বিগুণ উত্সাহ নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন?
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, সিলেকটিভ অ্যাপলিকেশন অব ল এর তৈরি হয়েছে এই সংশোধনীর ফলে। কারণ আপনার যাকে পছন্দ হলো না তাকে ধরলেন এবং সাজার ব্যবস্থা করলেন আর যাকে পছন্দ হল তাকে ধরলেন না- এতে করে আপনি রিপ্রেশনের জন্য আইনটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলেন। কিন্তু আইনের আসল উদ্দেশ্য কখনোই এটি হওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে জনগণের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। যা গণতন্ত্রের জন্য কখনো শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না। মনে হচ্ছে সরকারের শেষ মুহূর্তে এসে সরকারের মধ্যেই কিছু কিছু লোক এমন সব পদক্ষেপ নেয়াচ্ছে যেগুলো আসলেই জনবিরোধী।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তরুণ প্রজন্ম। আইনে সংশোধনী এনে এই প্রজন্মকে ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। অর্থাত্ একটি প্রজন্মকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। এই আইন দিয়ে তো কোন কিছু অর্জন করতে পারবেন না। কিন্তু জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করলেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এম আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার সমাজ বিনির্মাণে এই আইন একটি বড় বাধা হয়ে দেখা দেবে। পুলিশকে যে অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে পুলিশকে আরো বেপরোয়া করবে। পুলিশ চাইলে যে কাউকেই এই আইনে মামলা দিয়ে দীর্ঘকাল কারাগারে রাখতে পারবে।
এই আইনের অপরাধসূমহ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৪ থেকে ৬৫ ধারা পর্যন্ত কোন কোন কর্মকাণ্ড অপরাধ তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, (১) যদি কোন ব্যক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মালিক বা জিম্মাদারের অনুমতি ব্যতিরেকে-
(ক) তার ফাইলে রক্ষিত তথ্য বিনষ্ট করার বা ফাইল থেকে তথ্য উদ্ধার বা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে ঐ কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেন;
(খ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে কোন উপাত্ত, উপাত্ত-ভাণ্ডার বা তথ্য বা তার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন বা স্থানান্তরযোগ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় রক্ষিত বা জমাকৃত তথ্য (removable storage medium) বা উপাত্তসহ ঐ কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোন উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন;
(গ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ধরনের কম্পিউটার সংক্রামক বা দূষক বা কম্পিউটার ভাইরাস প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন;
(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত, কম্পিউটারের উপাত্ত-ভাণ্ডারের ক্ষতিসাধন করেন বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা ঐ কম্পিউটার, সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোন প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করার চেষ্টা করেন;
(ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন বা করার চেষ্টা করেন;
(চ) কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোন বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন উপায়ে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করেন বা করার চেষ্টা করেন;
৫৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, কোন কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহূত কম্পিউটার সোর্স কোড, গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করেন, বা অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে ঐ কোড, প্রোগ্রাম, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক গোপন, ধ্বংস বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন এবং ঐ সোর্স কোডটি যদি আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন দ্বারা সংরক্ষণযোগ্য বা রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য হয়, তাহলে তাহার এই কাজ হবে একটি অপরাধ?
৫৭ ধারায় বলা আছে, (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সমপ্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ কাজে আগ্রহী হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ হবে একটি অপরাধ?

Saturday, June 22, 2013

পৃথিবী থেকে বছরে ১,৫০০ মানুষ অপহরণ করে এলিয়েনরা!

বৃটেনের সবচেয়ে আজব এক সংগঠন অ্যানোম্যালাস মাইন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাবডাক্টি কনট্যাক্টি হেল্পলাইন (অ্যামাচ)। ২০১১ সালে ভিন গ্রহের সাথে যোগাযোগ হওয়া মানুষের সহযোগিতা দানকারী হিসাবে এ সংগঠনটি গড়ে ওঠে। 

অ্যামাচের দাবি, পৃথিবী থেকে প্রতি বছর ১,৫০০ মানুষ অপহরণ করে ভিনগ্রহী এলিয়েনরা। পৃথিবী-বহির্ভূত অর্থাৎ মহাকাশের সঙ্গে কোন ব্যক্তির যোগাযোগ হলে, তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করাই তাদের কাজ। অবশ্যই সেই ব্যক্তিটি যদি সত্যিই মনে করেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার সঙ্গে দূরগ্রহের কোন এলিয়েন যোগাযোগের চেষ্টা করছে বা যোগাযোগ হয়েছে।

 আরও মজার ব্যাপার হলো, অ্যামাচের কাছে সপ্তাহে গড়ে ৫টি ফোন-কল ও ২৫টি ইমেইল আসে। তাদের মধ্যে এক নারী রয়েছেন যার ধারণা তার ওপর গোপন নজরদারি করছে এলিয়েনরা। এক পুরুষ যিনি বছরে বেশ কয়েকবার তার এলিয়েন স্ত্রী ও সন্তানের কাছে যান। আরেক নারীর দাবি এলিয়েনরা তাকে ১,০০০ বারেরও বেশি অপহরণ করেছে। তাদের দাবি, এভাবে বছরে অপহরণ করা হয় দেড় হাজার মানুষকে। মজার এ খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই। অ্যামাচের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জোয়ান সামারস্কেলস ও মাইলস জনস্টন অপহরণের শিকার এ মানুষগুলোকে নৈতিক ও আবেগীয় সমর্থন দেয়াকে তাদের দায়িত্ব মনে করেন। তারা বিভিন্ন সভা, ওয়ার্কশপ ও সম্মেলনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছেন। এলিয়েনের সঙ্গে দেখা হওয়া মানুষদের একই ছাদের নিচে সমবেত করা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, তাদের ঘটনার ভিডিও প্রমাণ যোগাড় করা ও তা অনলাইনে পোস্ট করা এবং অন্যদেরকেও তাদের কার্যক্রমে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা থাকে সংগঠনটির উদ্দেশ্য।

আকাশে গুগলের ইন্টারনেট বেলুন

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে এবার এক অভিনব বেলুন উড়িয়েছে শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল। এই বেলুনে থাকা অ্যান্টেনা থেকে সম্প্রচার হবে থ্রিজি তরঙ্গ। প্রকল্পটি সফল হলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যাকে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে মনে করছে গুগল।

লটারি জেতার মেইল থেকে সাবধান!

বিশাল অঙ্কের লটারি জিতেছেন জানিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে যদি আপনার ইনবক্সে মেইল আসে,
আশান্বিত না হয়ে সতর্ক হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপত্তার জন্য এ মেইলগুলো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
যদিও এসব অজানা প্ররোচনামূলক মেইলের অধিকাংশই ফিল্টার হয়ে চলে যায় স্প্যামবক্সে, তবু সিস্টেমকে ধোঁকা দিয়ে কিছু মেইল আপনার ইনবক্সে চলে আসতে পারে। অনলাইনে লটারি জিতেছেন বলে আপনার কাছে পাঠানো এসব অজানা মেইলে বিশ্বাস না করার পরামর্শই দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।
কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইনে লটারি জেতার মেইল হতে পারে ডিজিটাল প্রতারণার পাতা ফাঁদ। বড় কোম্পানিতে মোটা বেতনে চাকরির সুযোগ, পুলিশের বড় কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের বার্তা, উকিল নোটিশ, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিশেষ অফার, সম্পত্তির ভাগ, দরিদ্রকে সাহায্য—এরকম নানা ছুতোয় আপনার ইনবক্সে জমা হওয়া ই-মেইলে মারাত্মক ভাইরাস বা ক্ষতিকারক সফটওয়্যার লুকিয়ে থাকতে পারে।
কম্পিউটার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সিমানটেকের গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, সাইবার-অপরাধীরা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে এখন নানা সুবিধার কথা জানিয়ে, নানা কৌশলে ই-মেইল করছে। এসব মেইল খোলার বিষয়ে সাবধান থাকুন। এসব মেইলে যেসব লিংক দেওয়া থাকে তাতে ক্লিক করবেন না। কারণ, এগুলো কম্পিউটারের ক্ষতিকারক মারাত্মক ভাইরাস আনতে পারে, যা আপনার কম্পিউটারের নানা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
সিমানটেকের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এশিয়া অঞ্চলে ই-মেইল স্ক্যাম বেড়েছে। 

স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকতে পাঁচ পরামর্শ

১. আপনার ইনবক্সে ক্ষতিকারক এ ধরনের মেইল এলে তা নির্বাচন করে স্প্যাম বলে চিহ্নিত করুন।
২. অনলাইনে অপ্রয়োজনে মেইল অ্যাকাউন্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. ই-মেইল পড়ে অর্থ উপার্জন, ই-মেইল ব্যবহার করে অনলাইন জরিপ, ক্লিক করে আয়—এ বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকুন।
৪. ই-মেইল ক্লিক করার আগে এ সম্পর্কে ধারণা করে তবেই ক্লিক করুন।
৫. ফিল্টার ব্যবহার করুন।

Tuesday, April 23, 2013




Announcements

Multi Purpose Website At Cheap Rate Only $375 USD Or BDT 30,000 Taka With Customized Template Design + Admin Panel ! No Hidden Charge’s!!

Web based Software with Internet Access. Now control your business anytime anywhere .
 



Promo Offer: 1 Domain + 1GB Linux Hosting FREE !!


User area features:

  • USD / BDT both currency support.
  • Support e-currencies.
  • Bank Wire Support.
  • Allows users to estimate theirs earnings on the fly.
  • WAP Access to statistics.
  • Easy registration.
  • Turing image for login.
  • Deposit from an account, automatic balance update.
  • Account data change possibility.
  • Instant payment possibility.
  • Detailed Deposit, Withdrawal and Earning Statistics.
  • Possibility to cancel withdrawal request.
  • Contact form - send request to Administrator.
  • Referral links section.
  • Referral statistics section.
  • Live chat.
  • Customized templete.

Admin area features:

  • Define the currency exchange fee.
  • Change System Time feature.
  • Custom HTML pages. Administrator can add a custom HTML page into the system (for ex. "Ratings Systems" page).
  • Bank Wire Support. Administrator can easily receive and manage Bank Wire deposits.
  • News section.
  • Advanced statistics.
  • Block user's accounts.
  • Block or use a referral program.
  • Suspend payments to user accounts.
  • Send penalties and bonuses to one user or to the user group.
  • Send customizable newsletters to your members.
  • Send a newsletter to one user or to the user group.
  • Transaction history.
  • Administrator can release a deposit or a part of it.
  • Withdraw or cancel withdrawal request.
  • Administrator can set the withdrawal as processed without payment.
  • Export withdrawal requests to CSV.
  • Define the usage of double opt-in registration.
  • Administrator can define also:
  • Whether users can change their e-currency account in members area.
  • Whether users can change their e-mail in members area.
  • Whether users are able to use an instant payment feature.
  • Whether one can make a deposit via payment processing you use.
  • The usage of the turing verification (the usage itself, text color, background color and symbol quantity)
  • The usage of a referral program.


More Info Call: +880-1725395525, 0155-4543868

WebSite: www.rongdhonucomputers.blogspot.com
FaceBook: www.facebook.com/rongdhonucomputers

Saturday, March 23, 2013

কম্পিউটার হ্যাং হবার ১২টি কারণ জেনে নিন।

হ্যাং বলতে কী বুঝায়? আমরা প্রয়ই বলে তাকি কম্পিউটার হ্যাং ধরেছে। কিন্তু আসলে হ্যাং বলতে কী বুঝায়? কম্পিউটার যখন তার কাজের ফলাফল ঠিকমত প্রকাশ করে না বা তার কাজের ফলাফল অনেক সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে তখন কম্পিউটারের এই অবস্থা কে হ্যাং বলে। এটা আমার মতামত অনেকে ভিন্নতা পোষণ করতে পারেন। সকল কাজের পিছনেই একটা না একটা কারণ রয়েছে। ঠিক তেমনি কম্পিউটার হ্যাং হবার পিছনেও কারণ রয়েছে। আর সে কারণগুলোই এখন বলব।

কম্পিউটার হ্যাং হবার কারণ

  • কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ- কম্পিউটারের কাজ করার পরিমাণ নির্ণয় করে কম্পিউটারের প্রসেসর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।
  • কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ- আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন সেই কাজটা সম্পন্ন হয় কম্পিউটার র‌্যাম অঞ্চলে। আর এই র‌্যামের পরিমাণ খম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না। এবং কম্পিউটারে হ্যাং ধরে।
  • কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পরো ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সকল কাজ করে তাকে প্রসেসর।
  • অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ- অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল কেটে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়।
  • অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- হ্যা এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। মনে করেন আপনার কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ১২৮ কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যাম ফোল হয়ে যাবে।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- আপনার কম্পিউটার র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু আপনি যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালান তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে তাকে কেননা তখন র‌্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায়।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারণ কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- এই বিষয়ে আমি এই টিউনে বলেছিলাম। কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারে  অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- হ্যা আমরা ভাইরাস হতে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় কম্পিউটারের মানের কথা না ভেবেই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করে তাকি যার কারণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ১

আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়তে হয়  ।  সমাধান করতে গিয়ে বিপাকেও পড়তে হয়, কখনো অপারেটিং সিস্টেম এর সমসসা, কখনো ডিভাইস এর সমসসা, কখনো অনেক অদ্ভুত সমসসা  ।  নানা সমসার সমাধান দিতে  আমি এ টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি  ।  আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।  প্রথমেই আমি কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে দ্রুত করার কয়েকটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করব  ।  এতে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, অহেতুক ঝামেলা নিয়ে অতিরিক্ত  টেনসন করতে হবে না  ।   আমরা অনেকে এক্সপি, ২০০০, সেভেন  কিংবা  এইট  ইউস করি,  আবার কিছু অফিস আদালতে এখনো ৯৮ ইউস করতে দেখা যায়  ।  আমরা কতটুকু ডিজিটাল হতে পেরেছি এটা দেখে মনে প্রশ্ন জেগে যায় ।  যাইহোক, যা বলছিলাম, সকল অপারেটিং সিস্টেমে সমসার টাইটেল একই হলেও সমাধানের প্রকার একটু ভিন্ন  ।  তবুও সমাধান এর পদ্ধতি খুব কাছাকাছি, আমরা ধারাবাহিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করব । আসুন দেখে নেই স্পীড বাড়ানোর জন্য কোন কোন ফর্মুলা এপ্লাই করা যেতে পারে । 
প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস এ যান   
  
 তারপর  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন 

পারফরমেনস অপশনস এর থার্ড অপশন এডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স সিলেক্ট করে ok  করি 
 
তারপর ডেস্কটপ এ  right বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিস এ গিয়ে থিমস এ Windows ক্লাসিক সেট করে নিন, তারপর ok করুন  


কাজটি ok করার পর স্ক্রিন সেভারও অফ করে রাখুন  এর ফলে আপনার কম্পিউটার এর গ্রাফিক্স এফেক্ট  অফ
হয়ে যাবে, রেম এর উপর চাপ কম হবে, যার ফলে আগের চেয়ে বেশি স্পীড পাবেন  । 


ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন : প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস গিয়ে  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন, পারফরমেন্স অপশন এর  সেটিং এ ক্লিক করে আবার advance এ ক্লিক করুণ

পারফরমেন্স অপশন এর ভার্চুয়াল  মেমরি এর change অপশন এ ক্লিক করুন 



এখানে কাস্টম সাইজ এ আপনার রেম এর মেমরির দিগুন সাইজ সেট করুন ইনিশিয়াল সাইজ এ, আর  তার ডাবল সাইজ সেট করুন  মাক্সিমাম সাইজ এ, তারপর ok করে রিস্টার্ট চাইলে রিস্টার্ট দিন । 


অতিরিক্ত সকল ফাইল রিমুভ করুন  : 
স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করুন, তারপর লিখুন “prefetch” এন্টার দিন, সকল ফাইল মুছে ফেলুন । 
 
 একইভাবে  temp  %temp% cookies  inf  লিখে একে একে এন্টার দিয়ে সব ফাইল মুছে ফেলুন
 
 
 

 এখন দেখুন  আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে দ্রুত গতির হয়েছে   চলবে …

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ২

ইতিপূর্বে  পর্ব – ১ এ কম্পিউটার  ফাস্ট করার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

পর্যায়ক্রমে এটি চলতে থাকবে ।  অনাকাঙ্খিত স্টার্ট আপ আইকন গুলো অফ করে রাখুন । এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, লিখুন msconfig এন্টার দিন, সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি ডায়লগ বক্স আসবে, তারপর স্টার্টাপ অপশন সিলেক্ট করে Disable All ক্লিক করে ওকে করুন।

কম্পিউটার রিস্টার্ট চাইবে রিস্টার্ট দিলে ডেস্কটপ এ একটি ডায়লগ বক্স আসবে তাতে টিক দিয়ে ওকে করলেই কাজ শেষ
ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে যেকোনো ডিভাইস অটোপ্লে হওয়া বন্ধ করুন । এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, gpedit.msc  লিখে  এন্টার দিন, তারপর Group Policy তে কম্পিউটার কনফিগারেশন এ সিস্টেম অপশন ক্লিক করলে ডান পাশে Turn off Autoplay দেখা যাবে, এটির প্রপার্টিস এ যেতে হবে  ।

তারপর  Turn off Autoplay প্রপার্টিস ডায়লগ বক্স আসবে, এখানে Enabled ক্লিক করে All  drives সিলেক্ট করে ওকে করুন

Windows Firewall অফ করে দিন, অনাকাঙ্খিত মেসেজ থেকে রেহায় পাবেন,  পাশাপাশি এর্রর রিপোর্ট ও disable করে রাখুন ।  এজন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে সিকিউরিটি সেন্টার ওপেন করুন ।
 
এখানে Change the way Security  Center Setting এ ক্লিক করে সব আনচেক  করে দিন  এবং ওকে করুন

তারপর স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে উইন্ডোস firewall  ওপেন করুন, অফ করে ওকে করুন ।
Error রিপোর্ট Disable করতে My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে এডভান্স এ গিয়ে Error Reporting  এ ক্লিক  করুন


Disable error এ ক্লিক করে But notify me আনচেক করে দিন ।
Automatic আপডেট অফ করে রাখুন ।


My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে অটোমেটিক updates সিলেক্ট করে Turn off করে ওকে করুন  ।  খেয়াল করে দেখুন আপনার কম্পিউটার ফাস্ট হয়েছে, আমার আগের টিউনটি দেখে নিতে পারেন, যেটি ছিল প্রথম পর্ব,  এখানে আরো কিচু টিপস দেয়া হয়েছে ।

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – 3

আসসালামু  আলাইকুম ।  সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই  ।  ভালো থাকেন এটাই আশা করি সবসময় ।  আজ আমি গুরুত্বপূর্ণ  আরেকটি  টিউন করব এবং পর্যায়ক্রমে চলতে  থাকা  টিউন এর  এটি  তৃতীয় পর্ব  । আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়ি   ।  যার  মধ্যে  অন্যতম   ভাইরাস  এর সমসসা,  ভাইরাস এর আক্রমনে   বারংবার   অপারেটিং সিস্টেম ও সেটাপ দিতে  হয় আমাদের  । পেন ড্রাইভ কিংবা ইন্টারনেট  থেকে ভাইরাস ঢুকে কম্পিউটার স্লো করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ।   এজন্য  ভালো পরামর্শ হচ্ছে  এফেক্টিভ  লাইসেন্স কৃত এন্টিভাইরাস  বেবহার করা ।  এজন্য  হাজার খানেক টাকা খরচ হলেও আপনার কম্পিউটার থাকবে  অনেকটাই  নিরাপদ  ।  ধরুন, আপনি এমন একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হযেছেন যার কারণে আপনার পেন ড্রাইভ এর কোনো ফাইল শো  করছেনা  ।  আর ফোল্ডার  অপশন এ গিয়ে শো হিডেন ফাইল  দিয়েও কাজ  হচ্ছেনা কিংবা   শো করলেও ফাইল গুলো হিডেন ফাইল এর  মতই  হয়ে আছে, ফলে অন্য কোনো কম্পিউটার এ পেন ড্রাইভ লাগালে কোনো ফাইল শো করেনা বা হিডেন দেখায় ।
 
ফাইল কিংবা ফোল্ডার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার কারণে এমনটি হচ্ছে।  ফাইল বা ফোল্ডার এর   এট্রিবিউট  চেঞ্জ হয়ে গেছে । এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন আপনি চেষ্টা করেও ফোল্ডার এর  এট্রিবিউট বা প্রপার্টিস চেঞ্জ করতে পারছেননা । রিড অনলি এবং হিডেন দুটি অপশন-ই  ডিজেবল অবস্থায় আছে । হিডেন ফাইল গুলোকে সাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এমনটাই হতে থাকবে ।  এমন  সমস্সায় পড়লে   নিচের  নির্দেশ গুলো  অনুসরণ   করুন   ।
নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করে i -Reset  সফটওয়ারটি  ডাউনলোড করে নিন  ।
iReset v1.3 – Files & Folders Reset Tool 
 
মাত্র ৬৮ কিলো বাইট এর একটি সফটওয়ার  ।  ডাউনলোড করতেও মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগবে।  সফটওয়ারটি ছোট হলেও ভালো কাজ করে,  সফটওয়ারটি  ডাউনলোড  হয়ে গেলে রান করে ওপেন করুন  ।  এবার আপনার পেন ড্রাইভ এ যান হিডেন ফোল্ডার  গুলো একটি একটি করে  ওপেন হওয়া সফটওয়ার  এর মাঝখানের  + চিন্ন সম্বলিত আইকন এ ড্রাগ করে ছেড়ে দিন আর  Reset অপশন এ ক্লিক করুন  । রিসেট হওয়ার পর সয়ংক্রিয়ভাবে i-Reset এর  সাইট ওপেন হলে অফ করে দিন ।   এভাবে আপনার ফোল্ডার এর পাশাপাশি ফাইল গুলোও সব রিসেট হয়ে যাবে । এরপর দেখতে পাবেন আপনার সকল ফাইল এবং ফোল্ডার সাভাবিক হয়ে গেছে, হিডেন অবস্থায় আর নেই । আপনি ফোল্ডার অপশন এ গিয়ে ডোন্ট শো হিডেন ফাইল অপশন সিলেক্ট করে ওকে করলেও আপনার ফাইলগুলো সাভাবিক অবস্থায়ই থাকবে, আর হটাত করে গায়েব হয়ে যাবেনা । আপনি চাইলে এখন ফোল্ডার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে রিড অনলি,  হিডেন  এসব অপশন অনায়াসেই চেঞ্জ করতে পারবেন  ।

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে

বিগত টিউনটি ছিল কম্পিউটারের এডমিনিসট্রেটর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এ বিষয়ে নির্দেশনা । যাইহোক আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করব ।  বিভিন্ন কম্পিউটার এ  BIOS ঢুকার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই DEL অথবা F2, কোনো কোনো মাদারবোর্ড এর ক্ষেত্রে  F10 অথবা  F1 হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে একসাথে কী গুলো প্রেস করে BIOS এ ঢুকতে পারবেন ।  DOS থেকে কন্ট্রোল পেনেল এর ইউজার একাউন্ট এ ঢুকতে  C : \> nusrmgr.cpl এই কমান্ডটি লিখে এন্টার দিন । পেয়ে যাবেন ইউজার একাউন্ট ডায়লগ বক্স । DOS থেকে কোনো ড্রাইভ  ফরমেট করতে চাইলে C : \> Format D : লিখে এন্টার প্রেস করুন  । কনফার্ম মেসেজ আসলে ওকে করে কনফার্ম করুন Y প্রেস করে  । একইভাবে E ড্রাইভ ফরমেন্ট দিতে চাইলে লিখুন  C : \> Format E  : কনফার্ম মেসেজ আসলে ওকে করে কনফার্ম করুন Y প্রেস করে ।  DOS থেকে কোনো ড্রাইভ এর ফাইল দেখতে চাইলে C : \>Dir  লিখে এন্টার প্রেস করুন  । C : \>Dir /P  লিখলে সবগুলো ফাইল  আপনি পেজ আকারে দেখতে পাবেন  এবং  এন্টার প্রেস করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজ এ যেতে পারবেন ।  C : \>Dir /S  লিখে এন্টার দিলে সকল সিস্টেম ফাইল দেখতে পাবেন  । DOS থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে  C : \> Exit  লিখে এন্টার দিন ।
এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস :
ক। আপনার কম্পিউটার এর স্পিড বাড়াতে আপনার রেম খালি করে রাখার চেষ্টা করবেন
খ। হার্ড ডিস্ক এ অপরিচিত কোনো সফটয়ার  রাখবেন না
গ। এন্টিভাইরাস আপডেট রাখুন ৩ দিন পর পর
ঘ। হার্ড ডিস্ক এর সকল ড্রাইভ স্ক্যান  করে ভাইরাস ক্লিন করুন প্রতি সপ্তাহে  অন্তত ১দিন
ঙ। পেন ড্রাইভ স্ক্যান না করে ওপেন করবেন না  এবং  ডাবল ক্লিক দেয়া থেকে বিরত  থাকবেন
চ। প্রতিদিন কাজ শেষে অতিরিক্ত সকল ফাইল মুছে ফেলুন
ছ। ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে রাখুন আপনার মেমরির দিগুন

স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে ১টি ১টি করে লিখুন আর এন্টার দিন
Prefetch, Temp, %Temp%, Recent, Cookies
তারপর সব ফাইল ডিলিট  করুন  ।
এছাড়াও …
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার এর কনফিগারেশন দেখতে লিখুন dxdiag আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার এর রেজিস্ট্রি এডিটর দেখতে লিখুন regedit আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার স্টার্টাপ অপশন এডিট করতে লিখুন msconfig আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার মেনেজমেন্ট কনসোল  দেখতে লিখুন mmc আর এন্টার দিন  ।