Saturday, March 23, 2013

কম্পিউটার হ্যাং হবার ১২টি কারণ জেনে নিন।

হ্যাং বলতে কী বুঝায়? আমরা প্রয়ই বলে তাকি কম্পিউটার হ্যাং ধরেছে। কিন্তু আসলে হ্যাং বলতে কী বুঝায়? কম্পিউটার যখন তার কাজের ফলাফল ঠিকমত প্রকাশ করে না বা তার কাজের ফলাফল অনেক সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে তখন কম্পিউটারের এই অবস্থা কে হ্যাং বলে। এটা আমার মতামত অনেকে ভিন্নতা পোষণ করতে পারেন। সকল কাজের পিছনেই একটা না একটা কারণ রয়েছে। ঠিক তেমনি কম্পিউটার হ্যাং হবার পিছনেও কারণ রয়েছে। আর সে কারণগুলোই এখন বলব।

কম্পিউটার হ্যাং হবার কারণ

  • কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ- কম্পিউটারের কাজ করার পরিমাণ নির্ণয় করে কম্পিউটারের প্রসেসর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।
  • কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ- আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন সেই কাজটা সম্পন্ন হয় কম্পিউটার র‌্যাম অঞ্চলে। আর এই র‌্যামের পরিমাণ খম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না। এবং কম্পিউটারে হ্যাং ধরে।
  • কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পরো ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সকল কাজ করে তাকে প্রসেসর।
  • অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ- অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল কেটে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়।
  • অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- হ্যা এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। মনে করেন আপনার কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ১২৮ কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যাম ফোল হয়ে যাবে।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- আপনার কম্পিউটার র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু আপনি যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালান তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে তাকে কেননা তখন র‌্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায়।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারণ কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- এই বিষয়ে আমি এই টিউনে বলেছিলাম। কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারে  অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- হ্যা আমরা ভাইরাস হতে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় কম্পিউটারের মানের কথা না ভেবেই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করে তাকি যার কারণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ১

আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়তে হয়  ।  সমাধান করতে গিয়ে বিপাকেও পড়তে হয়, কখনো অপারেটিং সিস্টেম এর সমসসা, কখনো ডিভাইস এর সমসসা, কখনো অনেক অদ্ভুত সমসসা  ।  নানা সমসার সমাধান দিতে  আমি এ টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি  ।  আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।  প্রথমেই আমি কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে দ্রুত করার কয়েকটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করব  ।  এতে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, অহেতুক ঝামেলা নিয়ে অতিরিক্ত  টেনসন করতে হবে না  ।   আমরা অনেকে এক্সপি, ২০০০, সেভেন  কিংবা  এইট  ইউস করি,  আবার কিছু অফিস আদালতে এখনো ৯৮ ইউস করতে দেখা যায়  ।  আমরা কতটুকু ডিজিটাল হতে পেরেছি এটা দেখে মনে প্রশ্ন জেগে যায় ।  যাইহোক, যা বলছিলাম, সকল অপারেটিং সিস্টেমে সমসার টাইটেল একই হলেও সমাধানের প্রকার একটু ভিন্ন  ।  তবুও সমাধান এর পদ্ধতি খুব কাছাকাছি, আমরা ধারাবাহিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করব । আসুন দেখে নেই স্পীড বাড়ানোর জন্য কোন কোন ফর্মুলা এপ্লাই করা যেতে পারে । 
প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস এ যান   
  
 তারপর  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন 

পারফরমেনস অপশনস এর থার্ড অপশন এডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স সিলেক্ট করে ok  করি 
 
তারপর ডেস্কটপ এ  right বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিস এ গিয়ে থিমস এ Windows ক্লাসিক সেট করে নিন, তারপর ok করুন  


কাজটি ok করার পর স্ক্রিন সেভারও অফ করে রাখুন  এর ফলে আপনার কম্পিউটার এর গ্রাফিক্স এফেক্ট  অফ
হয়ে যাবে, রেম এর উপর চাপ কম হবে, যার ফলে আগের চেয়ে বেশি স্পীড পাবেন  । 


ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন : প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস গিয়ে  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন, পারফরমেন্স অপশন এর  সেটিং এ ক্লিক করে আবার advance এ ক্লিক করুণ

পারফরমেন্স অপশন এর ভার্চুয়াল  মেমরি এর change অপশন এ ক্লিক করুন 



এখানে কাস্টম সাইজ এ আপনার রেম এর মেমরির দিগুন সাইজ সেট করুন ইনিশিয়াল সাইজ এ, আর  তার ডাবল সাইজ সেট করুন  মাক্সিমাম সাইজ এ, তারপর ok করে রিস্টার্ট চাইলে রিস্টার্ট দিন । 


অতিরিক্ত সকল ফাইল রিমুভ করুন  : 
স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করুন, তারপর লিখুন “prefetch” এন্টার দিন, সকল ফাইল মুছে ফেলুন । 
 
 একইভাবে  temp  %temp% cookies  inf  লিখে একে একে এন্টার দিয়ে সব ফাইল মুছে ফেলুন
 
 
 

 এখন দেখুন  আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে দ্রুত গতির হয়েছে   চলবে …

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ২

ইতিপূর্বে  পর্ব – ১ এ কম্পিউটার  ফাস্ট করার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

পর্যায়ক্রমে এটি চলতে থাকবে ।  অনাকাঙ্খিত স্টার্ট আপ আইকন গুলো অফ করে রাখুন । এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, লিখুন msconfig এন্টার দিন, সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি ডায়লগ বক্স আসবে, তারপর স্টার্টাপ অপশন সিলেক্ট করে Disable All ক্লিক করে ওকে করুন।

কম্পিউটার রিস্টার্ট চাইবে রিস্টার্ট দিলে ডেস্কটপ এ একটি ডায়লগ বক্স আসবে তাতে টিক দিয়ে ওকে করলেই কাজ শেষ
ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে যেকোনো ডিভাইস অটোপ্লে হওয়া বন্ধ করুন । এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, gpedit.msc  লিখে  এন্টার দিন, তারপর Group Policy তে কম্পিউটার কনফিগারেশন এ সিস্টেম অপশন ক্লিক করলে ডান পাশে Turn off Autoplay দেখা যাবে, এটির প্রপার্টিস এ যেতে হবে  ।

তারপর  Turn off Autoplay প্রপার্টিস ডায়লগ বক্স আসবে, এখানে Enabled ক্লিক করে All  drives সিলেক্ট করে ওকে করুন

Windows Firewall অফ করে দিন, অনাকাঙ্খিত মেসেজ থেকে রেহায় পাবেন,  পাশাপাশি এর্রর রিপোর্ট ও disable করে রাখুন ।  এজন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে সিকিউরিটি সেন্টার ওপেন করুন ।
 
এখানে Change the way Security  Center Setting এ ক্লিক করে সব আনচেক  করে দিন  এবং ওকে করুন

তারপর স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে উইন্ডোস firewall  ওপেন করুন, অফ করে ওকে করুন ।
Error রিপোর্ট Disable করতে My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে এডভান্স এ গিয়ে Error Reporting  এ ক্লিক  করুন


Disable error এ ক্লিক করে But notify me আনচেক করে দিন ।
Automatic আপডেট অফ করে রাখুন ।


My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে অটোমেটিক updates সিলেক্ট করে Turn off করে ওকে করুন  ।  খেয়াল করে দেখুন আপনার কম্পিউটার ফাস্ট হয়েছে, আমার আগের টিউনটি দেখে নিতে পারেন, যেটি ছিল প্রথম পর্ব,  এখানে আরো কিচু টিপস দেয়া হয়েছে ।

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – 3

আসসালামু  আলাইকুম ।  সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই  ।  ভালো থাকেন এটাই আশা করি সবসময় ।  আজ আমি গুরুত্বপূর্ণ  আরেকটি  টিউন করব এবং পর্যায়ক্রমে চলতে  থাকা  টিউন এর  এটি  তৃতীয় পর্ব  । আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়ি   ।  যার  মধ্যে  অন্যতম   ভাইরাস  এর সমসসা,  ভাইরাস এর আক্রমনে   বারংবার   অপারেটিং সিস্টেম ও সেটাপ দিতে  হয় আমাদের  । পেন ড্রাইভ কিংবা ইন্টারনেট  থেকে ভাইরাস ঢুকে কম্পিউটার স্লো করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ।   এজন্য  ভালো পরামর্শ হচ্ছে  এফেক্টিভ  লাইসেন্স কৃত এন্টিভাইরাস  বেবহার করা ।  এজন্য  হাজার খানেক টাকা খরচ হলেও আপনার কম্পিউটার থাকবে  অনেকটাই  নিরাপদ  ।  ধরুন, আপনি এমন একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হযেছেন যার কারণে আপনার পেন ড্রাইভ এর কোনো ফাইল শো  করছেনা  ।  আর ফোল্ডার  অপশন এ গিয়ে শো হিডেন ফাইল  দিয়েও কাজ  হচ্ছেনা কিংবা   শো করলেও ফাইল গুলো হিডেন ফাইল এর  মতই  হয়ে আছে, ফলে অন্য কোনো কম্পিউটার এ পেন ড্রাইভ লাগালে কোনো ফাইল শো করেনা বা হিডেন দেখায় ।
 
ফাইল কিংবা ফোল্ডার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার কারণে এমনটি হচ্ছে।  ফাইল বা ফোল্ডার এর   এট্রিবিউট  চেঞ্জ হয়ে গেছে । এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন আপনি চেষ্টা করেও ফোল্ডার এর  এট্রিবিউট বা প্রপার্টিস চেঞ্জ করতে পারছেননা । রিড অনলি এবং হিডেন দুটি অপশন-ই  ডিজেবল অবস্থায় আছে । হিডেন ফাইল গুলোকে সাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এমনটাই হতে থাকবে ।  এমন  সমস্সায় পড়লে   নিচের  নির্দেশ গুলো  অনুসরণ   করুন   ।
নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করে i -Reset  সফটওয়ারটি  ডাউনলোড করে নিন  ।
iReset v1.3 – Files & Folders Reset Tool 
 
মাত্র ৬৮ কিলো বাইট এর একটি সফটওয়ার  ।  ডাউনলোড করতেও মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগবে।  সফটওয়ারটি ছোট হলেও ভালো কাজ করে,  সফটওয়ারটি  ডাউনলোড  হয়ে গেলে রান করে ওপেন করুন  ।  এবার আপনার পেন ড্রাইভ এ যান হিডেন ফোল্ডার  গুলো একটি একটি করে  ওপেন হওয়া সফটওয়ার  এর মাঝখানের  + চিন্ন সম্বলিত আইকন এ ড্রাগ করে ছেড়ে দিন আর  Reset অপশন এ ক্লিক করুন  । রিসেট হওয়ার পর সয়ংক্রিয়ভাবে i-Reset এর  সাইট ওপেন হলে অফ করে দিন ।   এভাবে আপনার ফোল্ডার এর পাশাপাশি ফাইল গুলোও সব রিসেট হয়ে যাবে । এরপর দেখতে পাবেন আপনার সকল ফাইল এবং ফোল্ডার সাভাবিক হয়ে গেছে, হিডেন অবস্থায় আর নেই । আপনি ফোল্ডার অপশন এ গিয়ে ডোন্ট শো হিডেন ফাইল অপশন সিলেক্ট করে ওকে করলেও আপনার ফাইলগুলো সাভাবিক অবস্থায়ই থাকবে, আর হটাত করে গায়েব হয়ে যাবেনা । আপনি চাইলে এখন ফোল্ডার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে রিড অনলি,  হিডেন  এসব অপশন অনায়াসেই চেঞ্জ করতে পারবেন  ।

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে

বিগত টিউনটি ছিল কম্পিউটারের এডমিনিসট্রেটর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এ বিষয়ে নির্দেশনা । যাইহোক আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করব ।  বিভিন্ন কম্পিউটার এ  BIOS ঢুকার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই DEL অথবা F2, কোনো কোনো মাদারবোর্ড এর ক্ষেত্রে  F10 অথবা  F1 হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে একসাথে কী গুলো প্রেস করে BIOS এ ঢুকতে পারবেন ।  DOS থেকে কন্ট্রোল পেনেল এর ইউজার একাউন্ট এ ঢুকতে  C : \> nusrmgr.cpl এই কমান্ডটি লিখে এন্টার দিন । পেয়ে যাবেন ইউজার একাউন্ট ডায়লগ বক্স । DOS থেকে কোনো ড্রাইভ  ফরমেট করতে চাইলে C : \> Format D : লিখে এন্টার প্রেস করুন  । কনফার্ম মেসেজ আসলে ওকে করে কনফার্ম করুন Y প্রেস করে  । একইভাবে E ড্রাইভ ফরমেন্ট দিতে চাইলে লিখুন  C : \> Format E  : কনফার্ম মেসেজ আসলে ওকে করে কনফার্ম করুন Y প্রেস করে ।  DOS থেকে কোনো ড্রাইভ এর ফাইল দেখতে চাইলে C : \>Dir  লিখে এন্টার প্রেস করুন  । C : \>Dir /P  লিখলে সবগুলো ফাইল  আপনি পেজ আকারে দেখতে পাবেন  এবং  এন্টার প্রেস করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজ এ যেতে পারবেন ।  C : \>Dir /S  লিখে এন্টার দিলে সকল সিস্টেম ফাইল দেখতে পাবেন  । DOS থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে  C : \> Exit  লিখে এন্টার দিন ।
এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস :
ক। আপনার কম্পিউটার এর স্পিড বাড়াতে আপনার রেম খালি করে রাখার চেষ্টা করবেন
খ। হার্ড ডিস্ক এ অপরিচিত কোনো সফটয়ার  রাখবেন না
গ। এন্টিভাইরাস আপডেট রাখুন ৩ দিন পর পর
ঘ। হার্ড ডিস্ক এর সকল ড্রাইভ স্ক্যান  করে ভাইরাস ক্লিন করুন প্রতি সপ্তাহে  অন্তত ১দিন
ঙ। পেন ড্রাইভ স্ক্যান না করে ওপেন করবেন না  এবং  ডাবল ক্লিক দেয়া থেকে বিরত  থাকবেন
চ। প্রতিদিন কাজ শেষে অতিরিক্ত সকল ফাইল মুছে ফেলুন
ছ। ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে রাখুন আপনার মেমরির দিগুন

স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে ১টি ১টি করে লিখুন আর এন্টার দিন
Prefetch, Temp, %Temp%, Recent, Cookies
তারপর সব ফাইল ডিলিট  করুন  ।
এছাড়াও …
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার এর কনফিগারেশন দেখতে লিখুন dxdiag আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার এর রেজিস্ট্রি এডিটর দেখতে লিখুন regedit আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার স্টার্টাপ অপশন এডিট করতে লিখুন msconfig আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার মেনেজমেন্ট কনসোল  দেখতে লিখুন mmc আর এন্টার দিন  ।