Wednesday, February 27, 2013
Saturday, February 9, 2013
মানসিক ক্ষত শারীরিক ক্ষতের চেয়ে বেশি ভয়ংকর
খুব
ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ
দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের
বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে।
প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭
টি পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা
নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো,তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে
কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে
তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ।শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন
তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না।সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।
আমাদের জীবনের উপহার গুলো
একটি
শিশু যেদিন জন্ম নেয়, সেদিন সে সৃষ্টিকর্তার দেয়া কিছু বিশেষ উপহার সাথে
করে নিয়ে পৃথিবীতে আসে। এই উপহারগুলো আমরা সকলেই পেয়েছি। কিন্তু কেউ কেউ
এগুলোর কথা বেমালুম ভুলে গেছি। আসুন আপনাকে আপনার প্রথম জন্মদিনে পাওয়া
এই গিফটগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি।
✿ উপহার এক- শক্তি। যখনই আপনার প্রয়োজন হবে আপনার এই উপহারটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।✿ উপহার দুই – সৌন্দর্য্য। মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য্য তা কর্মে । আপনার প্রতিটি কাজ আপনার সৌন্দর্য্যের গভীরতাকেই ফুটিয়ে তোলে।
✿ উপহার তিন – সাহস। আপনি কথা বলার সময়,কাজ করার সময় এটি ব্যবহার করুন। এটিই আপনাকে এগিয়ে চলার পথ দেখাবে।
✿ উপহার চার – ক্ষমাশীলতা। অন্যের প্রতি ক্ষমাশীল থাকুন। কেউ আঘাত করলে তাকে বিনিময়ে ক্ষমা করতে শিখুন । আপনি নিজে যদি কোনো ভুল করেন তবে নিজেকেও ক্ষমা করতে শিখুন!
✿ পাঁচ নম্বর উপহারটি হলো – আশা। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সুসময়ের আশা রাখুন। বিশ্বাস রাখুন যে সুখ আসবেই।
✿ ছয় নম্বর উপহারটি হলো – আনন্দ। আপনার মনের দরজাটি খোলা রাখুন, যেনো বাইরের আনন্দ সব সময় আপনার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।
এই ছয়টির মধ্যে কোন গিফটটির কথা ভুলে গিয়েছিলেন?
✿ উপহার সাত – প্রতিভা। আপনার ভেতরের প্রতিভাকে খুব তাড়াতাড়ি খুজে বের করুন এবং একটা সুন্দর পৃ্থিবী গড়তে কাজে লেগে পড়ুন।
✿ উপহার আট – কল্পনা শক্তি। এই উপহারটি আপনার স্বপ্নকে লালন করার কাজে লাগান।
✿ উপহার নয় – সম্মান। নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব ভেবে দেখুন একবার। করুনাময়ের প্রতি সম্মান করতে শিখুন যিনি আপনাকে এত কিছু দিয়েছেন।
✿ দশম উপহারটি হলো জ্ঞান। আপনার জ্ঞান ও বোঝার ক্ষমতা আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুধুএর কথাগুলো কান পেতে শোনার অভ্যাস তৈরী করুন।
✿ একাদশত উপহারটির নাম আত্ববিশ্বাস। যেকোনো মুহুর্তে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে শিখুন।
✿ বারোতম উপহারটির নাম ভালোবাসা। আপনি সবাইকে যতই ভালোবাসবেন, আপনার ভেতরের ভালোবাসা ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
আপনার এই বারোটি ক্ষমতার কোনোটি ভুলে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে সেগুলো আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। এগুলো আপনার ভেতরেই রয়েছে। শুধু নিজেকে সময়মত মনে করিয়ে দেওয়ার অপেক্ষা। তাহলেই জীবন হয়ে উঠবে সর্বাঙ্গীন সুন্দর।
সাফল্যের গোপন রহস্য
একজন বিখ্যাত দার্শনিককে একবার এক যুবক এসে বলল-
“ সাফল্যের গোপন রহস্য কি?”
দার্শনিক তাকে বলল-
“ তুমি কাল আমার সাথে নদীর পারে সেই বড় কবরস্থানের পাশে দেখা কর। তখন আমি তোমার প্রশ্নের উত্তর দিব”।
পরের দিন যুবক যথা সময়ে নদীর পাশের সেই কবর স্থানের পাশে এসে হাজির হল। দার্শনিকও কিছুক্ষনের মধ্যে হাজির হলেন।
এবার দার্শনিক যুবকের কোমরের সাথে একটি রশি বেঁধে দিয়ে পানিতে নামতে বললেন এবং নিজেউ নামলেন। যুবক সামনে আর দার্শনিক পিছনে।
যুবক এক পর্যায়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল-
“আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?”
দার্শনিক জবাবে বলল-
“আমি তোমাকে সাফল্যের গোপন রহস্য দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি”।
যুবক এক অজানা রহস্য উন্মোচনে বিভোর হয়ে আর কোন প্রশ্ন করল না।
নদীর ভেতর কিছুদূর যাওয়ার পর যুবকের প্রায় নাক পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেল। আর পেছনে থাকা দার্শনিকের গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেল।
এমন পর্যায়ে এসে যুবক অনেকটা বিরক্ত হয়ে দার্শনিককে বলল-
“ আর সামনে যাওয়া যাবেনা। সামনে গভীর পানি, নদীর স্রোত অনেক বেশি। আমি ভালো সাঁতার পারিনা। পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকা আছে। আপনি কি দেখাতে চান তা এখান থেকেই দেখান”।
দার্শনিক পেছন থেকে যুবককে সজোরে ধাক্কা দিল। ফলে যা হওয়ার তাই হল। যুবক পানিতে হাবুডুবু খেতে লাগলো। অনেক কষ্টে আবার তীরে আসার চেষ্টা করল- কিন্তু দার্শনিকের শক্তিশালী হাত তাকে বার বার বাধা দিল। একপর্যায়ে যুবক আতঙ্কিত হয়ে গেল। বাতাসের অভাবে শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ আর নীল হয়ে যেতে লাগলো। শেষ চেষ্টা হিসেবে যুবক এক বুদ্ধি বের করল যে – বৃত্তাকার পথে দার্শনিককে কেন্দ্রবিন্দু ধরে ঘুরে পারে উঠে যাবে। যেহেতু রশি বাধা আছে, সেহেতু ঘুরতে গেলে স্রোতের টানে সে হারাবেনা। তবে দার্শনিক যদি চায় তবে তাকে এই ঘুর পথে উঠতে গেলেও বাধা দিতে পারে। তবু যুবক এই শেষ চেষ্টা করতে লাগলো।
ঘুরতে গিয়ে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হল যা দুর্বল শরীরকে আরও দুর্বল করে দিল। বাতাসের অভাবে শরীর আস্তে আস্তে আরও নিস্তেজ হতে লাগলো। এক পর্যায়ে অনেকটা আধা অচেতন হয়েই সে পারে উঠে এলো। দুর্বল শরীর নিয়ে সে মাটিতেই পড়ে রইল। দার্শনিক এসে তার পাশে বসল এবং জিজ্ঞাসা করল-
“ তুমি যখন পানিতে ডুবে যাচ্ছিলে তখন তুমি কি চাচ্ছিলে?”
যুবক দুর্বল স্বরে বলল-
“ বাতাস”
দার্শনিক এবার দাড়িয়ে আস্তে আস্তে বলতে লাগলো-
“ মেচের কাঠির আগুন যেমন পুরো ঘরকে গরম করার জন্য যথেষ্ট নয়, ঠিক তেমনি দুর্বল লক্ষ্য কখনই চূড়ান্ত সাফল্য বয়ে আনতে পারেনা। তুমি যখন বাতাসের জন্য তোমার লক্ষ্যকে শক্তিশালী করেছ- তখন কোন না কোন বিকল্প উপায়ে তুমি লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছতে পেরেছ। সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে একাগ্রতা, দৃঢ় ইচ্ছা আর আত্মবিশ্বাস”।
দার্শনিক কথাগুলো বলে সেখান থেকে চলে গেল। প্রথমে যুবকের কাছে প্রচণ্ড রাগ লাগলেও দার্শনিকের কথার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝার পর আর রাগ থাকলনা।
দার্শনিক তাকে বলল-
“ তুমি কাল আমার সাথে নদীর পারে সেই বড় কবরস্থানের পাশে দেখা কর। তখন আমি তোমার প্রশ্নের উত্তর দিব”।
পরের দিন যুবক যথা সময়ে নদীর পাশের সেই কবর স্থানের পাশে এসে হাজির হল। দার্শনিকও কিছুক্ষনের মধ্যে হাজির হলেন।
এবার দার্শনিক যুবকের কোমরের সাথে একটি রশি বেঁধে দিয়ে পানিতে নামতে বললেন এবং নিজেউ নামলেন। যুবক সামনে আর দার্শনিক পিছনে।
যুবক এক পর্যায়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল-
“আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?”
দার্শনিক জবাবে বলল-
“আমি তোমাকে সাফল্যের গোপন রহস্য দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি”।
যুবক এক অজানা রহস্য উন্মোচনে বিভোর হয়ে আর কোন প্রশ্ন করল না।
নদীর ভেতর কিছুদূর যাওয়ার পর যুবকের প্রায় নাক পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেল। আর পেছনে থাকা দার্শনিকের গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেল।
এমন পর্যায়ে এসে যুবক অনেকটা বিরক্ত হয়ে দার্শনিককে বলল-
“ আর সামনে যাওয়া যাবেনা। সামনে গভীর পানি, নদীর স্রোত অনেক বেশি। আমি ভালো সাঁতার পারিনা। পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকা আছে। আপনি কি দেখাতে চান তা এখান থেকেই দেখান”।
দার্শনিক পেছন থেকে যুবককে সজোরে ধাক্কা দিল। ফলে যা হওয়ার তাই হল। যুবক পানিতে হাবুডুবু খেতে লাগলো। অনেক কষ্টে আবার তীরে আসার চেষ্টা করল- কিন্তু দার্শনিকের শক্তিশালী হাত তাকে বার বার বাধা দিল। একপর্যায়ে যুবক আতঙ্কিত হয়ে গেল। বাতাসের অভাবে শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ আর নীল হয়ে যেতে লাগলো। শেষ চেষ্টা হিসেবে যুবক এক বুদ্ধি বের করল যে – বৃত্তাকার পথে দার্শনিককে কেন্দ্রবিন্দু ধরে ঘুরে পারে উঠে যাবে। যেহেতু রশি বাধা আছে, সেহেতু ঘুরতে গেলে স্রোতের টানে সে হারাবেনা। তবে দার্শনিক যদি চায় তবে তাকে এই ঘুর পথে উঠতে গেলেও বাধা দিতে পারে। তবু যুবক এই শেষ চেষ্টা করতে লাগলো।
ঘুরতে গিয়ে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হল যা দুর্বল শরীরকে আরও দুর্বল করে দিল। বাতাসের অভাবে শরীর আস্তে আস্তে আরও নিস্তেজ হতে লাগলো। এক পর্যায়ে অনেকটা আধা অচেতন হয়েই সে পারে উঠে এলো। দুর্বল শরীর নিয়ে সে মাটিতেই পড়ে রইল। দার্শনিক এসে তার পাশে বসল এবং জিজ্ঞাসা করল-
“ তুমি যখন পানিতে ডুবে যাচ্ছিলে তখন তুমি কি চাচ্ছিলে?”
যুবক দুর্বল স্বরে বলল-
“ বাতাস”
দার্শনিক এবার দাড়িয়ে আস্তে আস্তে বলতে লাগলো-
“ মেচের কাঠির আগুন যেমন পুরো ঘরকে গরম করার জন্য যথেষ্ট নয়, ঠিক তেমনি দুর্বল লক্ষ্য কখনই চূড়ান্ত সাফল্য বয়ে আনতে পারেনা। তুমি যখন বাতাসের জন্য তোমার লক্ষ্যকে শক্তিশালী করেছ- তখন কোন না কোন বিকল্প উপায়ে তুমি লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছতে পেরেছ। সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে একাগ্রতা, দৃঢ় ইচ্ছা আর আত্মবিশ্বাস”।
দার্শনিক কথাগুলো বলে সেখান থেকে চলে গেল। প্রথমে যুবকের কাছে প্রচণ্ড রাগ লাগলেও দার্শনিকের কথার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝার পর আর রাগ থাকলনা।
“‘জীবনের অর্থ আর উদ্দেশ্য”
ছেলেরজন্য বাবা একজন গৃহ শিক্ষক রাখলেন। পড়াশুনা শুরুর আগে ছেলেটি তার শিক্ষককে পরীক্ষা করে দেখতে চাইলো।
‘স্যার, আপনি কি আমাকে আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য শেখাতে পারবেন?’শিক্ষক উত্তর দিল, ‘না, আমি হয়তো তা পারবো না।’
‘তাহলে অন্তত জীবনের অর্থটা শেখাতে পারবেন?’
‘আমি হয়তো তাও পারবো না’
‘আমার বাবা একজন ধনী ব্যক্তি।তাই এত বেশি পড়াশোনা করি না, ভবিষ্যতে আমি সুখে থাকবো না দুঃখে বলতে পারবেন ?’
‘আমি এটাও বলতে পারবো না।’
ছেলেটি বুঝতে পারলো যে তার শিক্ষক তেমন কিছুই জানে না।তাই সে তাকে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলো।
এবার শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘তুমি কি খেতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসো?’
ছেলেটি বললো, ‘স্যার, পুডিং’
‘আমি তোমাকে যদি পুডিং খেতে না দিয়ে, পুডিং খেতে কেমন তা বর্ননা করে শোনাই তবে কোনটা তোমার বেশি ভাল লাগবে? নিজে খেয়ে দেখা নাকি আমার পুডিং এর বর্ননা?’
‘স্যার, নিজে পুডিং খেয়ে দেখা’
শিক্ষক এবার বললো, ‘জীবনের অর্থ আর উদ্দেশ্য বোঝার জন্যও ঠিক তেমনি ভাবে জীবনের স্বাদ নেয়াটাই একমাত্র উপায়।’
আমাদের মনে হয়তো এমন অনেক প্রশ্নই আছে যেগুলোর উত্তর আমাদের জানা নেই। সেগুলো নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ততক্ষন পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব নয় যতক্ষন না আমরা জীবনের সেই মোড়ে পৌছে যাচ্ছি।এখন প্রশ্ন গুলো নিজের মধ্যেই রেখে জীবনে এগিয়ে যান। হয়তো সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আপনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর নিজে নিজেই পেয়ে যাবেন।
সব কাজকে সমান গুরুত দেয়া
তার মালিক এতে কিছুটা দুঃখ পেল কারন সে ছিলো সবচেয়ে দক্ষ ও কর্মঠ রাজমিস্ত্রী। সে বললো,’ঠিক আছে,কিন্তু তুমি কি চলে যাওয়ার আগে আর একটি মাত্র বাড়ি বানাতে আমাদের সাহায্য করবে?’ বয়স্ক রাজমিস্ত্রী এই প্রস্তাবে স্বানন্দে রাজী হয়ে গেল।
কিন্তু কাজ শুরু করার পর দেখা গেল তার মন সেখানে ছিল না এবং সে সবসময় তার অবসরের কথা ভেবে অন্যমনস্ক থাকতো। সবসময় সে বাড়ির চিন্তা করতো। তাই এর আগে যত কাজ সে করেছিলো এই কাজটাই তার করা সবচেয়ে খারাপ কাজ হয়ে গেল।
যখন সে বাড়িটি তৈরী করা শেষ করলো তখন তার মালিক বাড়িটি দেখতে এলো এবং বৃদ্ধের হাতে বাড়ির চাবি দিয়ে বললো,’এটা এখন থেকে তোমার বাড়ি,তোমার প্রতি আমার উপহার।’
এই কথা শুনে বৃ্দ্ধ আফসোস করে উঠলো!
সে মনে মনে ভাবলো,’হায় হায়! যদি আমি শুধু একবার জানতাম যে আমি আমার নিজের বাড়ি তৈরী করছি! তাহলে এটা আমার জীবনে করা সবচেয়ে ভাল কাজ হতো!’
বাস্তবেও আমরা প্রতিটা দিন আমাদের জীবনকে এই বাড়ির মতই তৈরী করে চলেছি। কিন্তু আমরা প্রায়ই তা ভুলে যাই। আর তাই সব কাজে আমাদের বেস্ট টার চেয়ে অনেক কম চেষ্টাটা করি,অনেক কম পরিশ্রমটা দেই। আমরা যদি আজ এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারি তবে আমরা হয়তো আমাদের সেরা পরিশ্রমটাই দিতে পারবো।
আমরা আমাদের জীবনের ফেলে আসা দিনে ফিরে যেতে পারি না,তোমার জীবনের সেই রাজমিস্ত্রীটি তুমিই,যে প্রতিদিন ইট,কাঠ,পেরেক দিয়ে তোমার জীবনটাকে গড়ে তুলছো। তোমার আজকের কাজ,চেষ্টা, পরিশ্রম আগামী দিনের সেই বাড়িটা তৈরী করবে যেখানে তুমি থাকবে। তাই আজই যত্নবান হও!
জীবনের প্রতিটি সমস্যা এক একটি মাটি ভরা বেলচার মতো
তিনি তার প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ জানালো তাকে সাহায্য করার জন্য। তারা সবাই একটি করে বেলচা নিল এবং ওই গর্তে মাটি ফেলতে লাগলো। প্রথমে গাধাটি বুঝল যে তাকে ভয়ঙ্করভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে গাধাটি আরও বেশী চিৎকার করতে লাগলো।
গর্তে কিছু মাটি ফেলার পর, কৃষক শেষ বারের মতো গর্তের দিকে দেখল, তিনি বিস্মিত হয়ে গেল গর্তে যা দেখল। গর্তে যত বার বেলচা থেকে মাটি পরতে লাগলো, গাধাটা তা দেহ থেকে মাটি গুলো ঝেড়ে সে ঐ মাটির উপর তার পা গুলো রাখতে লাগলো। কৃষকের প্রতিবেশীরা অবিরাম ভাবে বেলচা দিয়ে মাটি ফেলতে লাগলো এবং প্রানীটি একইভাবে তার দেহ থেকে মাটি গুলো ঝেড়ে সে ঐ মাটির উপর তার পা গুলো রাখতে লাগলো। একসময় দেখা গেল গাধাটা ঠিক গর্তের উপরে উঠে আসল এবং তার জীবনটা ফিরে পেল।
শিক্ষাঃ এই গাধাটার মতই প্রতিনিয়ত ময়লা এসে আমাদের জীবনে পরছে। জীবনকে যদি সুন্দর করতে চান ঐ ময়লা গুলো জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে উপরের দিকে যান। জীবনের প্রতিটি সমস্যা এক একটি মাটি ভরা বেলচার মতো, আমরা সমস্যার চাপে হারিয়ে যেতে পারি যদি না সেগুলো ঠেলে তার উপর দাঁড়াতে না পারি।
“আমি বিশ্বাস করি স্রষ্টা বলে কেউ নেই”
লোকটি তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, “তুমি এমনটি বললে কেন??”
নরসুন্দর লোকটি বললো, “তুমি অন্ধ নাকি?? শুধু এখান থেকে রাস্তায় গিয়ে দেখো, দেখবে স্রষ্টা বলে কেউ নেই। যদি এমন কেউ থাকতোই তবে এতো মানুষ অনাহারে কষ্ট পেতো না। আমাকে বল, স্রষ্টা বলে যদি আসলেই কেউ থাকতো তবে কি এতো মানুষ অসুখে কষ্ট পেতো??এমনকি দুধের শিশুরাও বাদ যায় না। যদি স্রষ্টা বলে আসলেই কেউ থাকতো , তবে কেউ কষ্টে থাকতো না। কষ্ট পেতো না। আমি বুঝি না, যদি কেউ স্রষ্টা বলে কেউ থাকতোই তবে নিজের সৃষ্টিকে এমন কষ্ট কেউ দিতে পারে কি করে??”
চুল কাটাতে আসা লোকটি একটু ভাবলো এবং চুপ করে থাকলো। সে কোন যুক্তি তর্কে যেতে চাইলো না। চুল কাটা শেষ হলে লোকটি দোকানের বাহিরে আসলো।
বাহিরে আসার পর উস্কোখুস্কো লম্বা জট পাকানো ময়লা চুলের – দাড়ির এক লোককে দেখতে পেলো রাস্তায় দাড়িয়ে। দোকানে ফিরে লোকটি নরসুন্দরকে বললো, “তুমি জানো কি এ এলাকায় কোন নরসুন্দর নেই”।
নরসুন্দর অবাক হয়ে বললো, “কি সব বাজে বকছো?? এ এলাকায় নরসুন্দর থাকবে না কেন?? এই মাত্রই তো আমি তোমার চুল কেটে দিয়েছি”।
এবার লোকটি বাহিরের লম্বা জট পাকানো লোকটিকে দেখিয়ে বললো, “তাহলে নরসুন্দর থাকার পরও কিভাবে এমন নোংরা লম্বা জট পাকানো চুল নিয়ে এ এলাকায় কেউ থাকে??”
নরসুন্দর লোকটি জবাব দিলো, “তাকে তো আমার কাছে আসতে হবে চুল কাটতে।। নাকি??”
“হুম ।। সেটাই”- লোকটি জবাব দিলো। “এটাই আসল পয়েন্ট। স্রষ্টাও আছেন, কিন্তু তার কি দোষ মানুষ যদি তার কাছে না যায়??
যদি তার কাছে না চায়?? মানুষের নিজের জন্যই তো তার কাছে যেতে হবে, চাইতে হবে, নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। নাকি??
( সংগৃহীত )
নিজের উপর বিশ্বাস
শিক্ষাঃ
অন্যের মতামত দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজের বুদ্ধি, বিবেককে ও কাজে
লাগানো উচিত। আপনি যদি সহজে অন্যের কথায় গলে যান, রেগে যান, আন্যের দ্বারা
চালিত হোন, তবে সবসময় আপনি হতাশা, ব্যার্থতায় পর্যবাসিত হবেন। তাই নিজের
উপর দৃঢ় মনোবল আর বিশ্বাস রাখুন।
তুমি যা বিশ্বাস কর তাই কর
মুরগী সেই ডিমটিকে নিজের বাসায় নিয়ে এলো। অন্যান্য ডিমের সাথে রাখলো। যত্ন করে তা দিতে থাকলো। একদিন সেই ডিম ফুটে ঈগলের একটি সুন্দর বাচ্চাও বের হলো। মুরগীর বাচ্চাদের সাথেই ঈগলের বাচ্চাটি বড় হয়ে উঠতে লাগলো।
কিন্তু সে ভেতর থেকে যে সবসময় অন্য কিছু অনুভব করতো। আকাশে একদিন ঈগলের একটা ঝাঁককে উড়ে বেড়াতে দেখে সে মুরগীকে বললো, ইস, যদি আমিও তাদের মত উড়ে বেড়াতে পারতাম। মুরগী হেসে উত্তর দিলো, তুমি কিভাবে উড়বে? তুমি তো মুরগী এবং মুরগী কখনো উড়ে না।
ঈগল মাঝে মাঝেই তার স্বগোত্রীয়দের উড়ে বেড়াতে দেখতো এবং স্বপ্ন দেখতো সেও তাদের মতই উড়ে বেড়াবে।
কিন্তু প্রতিবার সে তার স্বপ্নের কথা জানালে মুরগী বলতো যে এটা একেবারেই অসম্ভব। মুরগীর এই কথাটিই ঈগল বিশ্বাস করতে শিখলো এবং তার জীবনটা বাকী মুরগীদের মতই কাটিয়ে দিলো। অনেক দিন এভাবে কাটানোর পর একদিন সে মারাও গেল।
আসলে আমাদের জীবনেও এটা চরমতম সত্য। তুমি যা বিশ্বাস করতে শেখো একদিন তুমি তাই হয়ে উঠবে। তাই তুমি যদি ঈগলের মত উড়ার স্বপ্ন দেখো, তবে সেই স্বপ্নকেই অনুসরন করো। মুরগীর কথায় কান দিতে যেও না।
ফাঁদ
সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-
“ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-
“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল-
“ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো।
রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে।
তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না।
পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন।
অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।
আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল।
একসময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল।
আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ কেউ বিপদে সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা উচিৎ, হোক সেই বিপদ আমাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। বিপদ্গ্রস্থকে সাহায্য করা নৈতিক দায়িত্ব।
জীবনে ভালো থাকার জন্য যা করতে হবে
জীবন কতনা অদ্ভূত! কখনও কতইনা সুন্দর আর আনন্দময়, আর কখনও কত কষ্টকর! আমাদের জীবনটাই যে এমন! কেউ তো জানিনা আমার যতি চিহ্ন কোথায়… কী নিয়ে দুঃখ করবো আমি? আজ হয়ত আমি অনেক সুখী, যদি আজই চলে যেতে হয় এই জগত ছেড়ে, তবে আমি কি প্রস্তুত যাওয়ার জন্য? আমি যতটুকু সুখে আছি, অনেকেই তো তার চাইতে খারাপ আছেন, তাইনা?জীবনটাই তো এমন! অনেক পাওয়া আর না পাওয়া দিয়ে ঘেরা… অনেক তৃপ্তি আর অতৃপ্তি মাখানো… তাকে তো আপন করে নিলে চলেনা! তাকে সাথে করে চলতে হতে হয়। এলোমেলো হয়ে গেলেও প্রস্তুত হতে হবে আখিরাতের জন্য… সেটাতে ভুলে গেলে চলবেই না!
একটা কথা শুনেছিলাম :জীবনে যা ঘটেছে, তা ভালো হয়েছে। যা হচ্ছে, তা-ও ভালো হচ্ছে। আর ভবিষ্যতে যা ঘটবে, তা-ও ভালোই হবে।
এক লোক মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখেন তার জুতো জোড়া হারিয়ে গেছে। ভীষণ মন খারাপ করে তিনি পথ চলতে শুরু করলেন খালি পায়ে। কিছুদূর যাবার পর তিনি দেখলেন একজন ভিক্ষুককে যার দু’টো পা-ই নেই… তখন তার নিজের জুতো হারাবার দুঃখ ঘুচে গেলো… আমার তো অন্ততঃ দু’টো পা অক্ষত আছে! যাক না দু’জোড়া জুতো…
এটা মনে হয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর একটা কবিতায় পড়েছিলাম আমরা।
যা হারিয়ে গেছে আমার, তার চাইতে অনেক বেশি কিছু আমার কাছেই আছে। অনেকের কাছে সেটুকুও তো নেই! এটাই হয়ত আত্মিক শান্তি অর্জনের ভাবনা হওয়া উচিত। আর সেই শান্তির খোজেই তো আমরা ছুটে চলেছি জগতময়! যদি মনেই শান্তি পাওয়া যায়, তবে আর ক্ষতি কী?
আজ কিছু টিপস, কীভাবে ভালো থাকা যায় :
- নিজেকে কখনও অন্যের সাথে তুলনা করবেন না।
- নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে বিরত থাকুন। সবকিছুকে পজেটিভ ভাবে গ্রহন করতে চেষ্টা করুন।
- নিজেকে নিয়ে এবং কাছের মানুষদেরকে নিয়ে অনর্থক বেশি দুঃচিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন, দুঃশ্চিন্তা কখনোই সমস্যার সমাধান করবেনা।
- নিছক আড্ডা দিয়ে সময়ের অপচয় করবেন না।
- শত্রুতা এবং অন্যের প্রতি ঘৃণা বজায় রাখবেন না। এতে কেবল দুঃশ্চিন্তা বাড়ে এবং মানসিক শান্তি নষ্ট হয়, যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- নিজের এবং অন্যের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিন, শিক্ষাকে মনে রাখুন, ভুলকে ভুলে যান। অতীতের ভুল নিয়ে অতিরিক্ত ঘাটাঘাটি করে তিক্ততা বাড়িয়ে বর্তমানের সুন্দর সময়কে নষ্ট করবেন না।
- মনে রাখবেন, জীবন একটি বিদ্যালয় যেখানে আপনি শিখতে এসেছেন। জীবনের যত সমস্যা তা এই বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত, এ নিয়ে তাই চিন্তা না করে বীজগণিতের মত সমাধানের চেষ্টা করুন।
- প্রচুর পরিমাণে হাসুন এবং সবসময় হাসিখুশী থাকার অভ্যাস করুন। সেই সাথে অন্যদেরকেও হাসিখুশী রাখতে চেষ্টা করুন।
- জীবনের সব ক্ষেত্রে জয় লাভ করা অসম্ভব। তাই হার মেনে নিতে প্রস্তুত থাকুন। এটাও আপনার একটা মানসিক বিজয়।
- অন্যের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন।
- অন্যেরা আপনাকে নিয়ে কি ভাববে তা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। নিজের কাজ করে যান আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
- সময়ের কাজ সময়ে করুন, কিছুতেই এখনকার কাজ পরে করার জন্যে ফেলে রাখবেন না।
- যেসব জিনিস চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষণীয়, কিন্তু ও উপকারী নয়, তা থেকে দূরে থাকুন।
- সুসময় বা দুঃসময় যাই হোক না কেন, সবই বদলাবে, এটাই চিরন্তন নিয়ম, তাই কোনো কিছুতেই অতিরিক্ত উৎফুল্ল বা অতিরিক্ত দুঃখিত হবেন না।
“তোমরা ধৈর্য্য ও সালাতের সাহায্যে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা বাকারা: ১৫৩)
এই স্বল্প সময়ের পৃথিবীতে যেন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে বিদায় নিতে পারি সেই প্রার্থনা আমার সবার জন্য রইলো। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। সঠিক পথ তো সে-ই পায়, যে তার জন্য স্বপ্ন দেখে, চেষ্টা করে, হৃদয় যার লালায়িত থাকে মুক্তির প্রত্যাশায়…
বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার ১০টি টিপস!
আমরা জানি, হাসি হলো মহৌষধের নাম। আপনি যখন মন খারাপ করে বসে থাকবেন, তখন একটি হাসির ছবি দেখুন না! দেখবেন, সারাদিনের যাবতীয় স্ট্রেস দূর হয়ে যাবে, কারণ, হাসলে শরীরে এনডরফিন নিঃসরিত হয়, যা আপনার মুড ভালো করার জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া হাসলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়ে এবং হৃদপিণ্ডের রক্তসঞ্চালন স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে বৃদ্ধি পায়। তবে দেরি কেন? মন খারাপ?একটা হাসুর ছবি নিয়ে বসে পড়ুন না!
২/ স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ করুনঃ
অনেক সময় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সঠিক পরিমাণ পুষ্টির অভাবের কারণে মুড খারাপ থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাদ্যের অভাবে ডিপ্রেশান এবং নেতিবাচক মুডের সৃষ্টি হতে পারে। ফিনল্যান্ডের কুওপিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট ট্যাবলেট ডিপ্রেশান/বিষণ্ণতার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী।
বিতর্কিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, চকলেট খেলে মন ভাল হয়ে যায়। তবে এ কথা সত্য যে চকলেট এনডরফিন নিঃসরণে সহায়ক।
৩/ ঘর হতে বাহির হতে শিখুনঃ
ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণেও অনেক সময় মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে। ভিটামিন ডি অনেকরকম খাবারে পাওয়া গেলেও, এর সবচেয়ে
পরিচিত এবং প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যালোক। মন খারাপ? ঘরে বসে না থেকে বাইরে থেকে হেঁটে আসুন। গায়ে রোদ লাগান। দেখবেন, ভালো লাগছে।
৪/ ব্যায়াম করুনঃ
মন খারাপ লাগছে? যদি সম্ভব হয়, জিমে যান। নয়তো জগিং করতে বের হন। বাইরে সম্ভব না হলে ছাদে চলে যান। সেটাও সম্ভব না হলে
ঘরে বসে দড়িলাফ করুন। মোদ্দা কথা, শরীরকে ঘামতে দিন। ঘামের সাথে শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বাইরে চলে যাবে, এবং আপনার
মস্তিষ্ক হতে এনডরফিন এবং এনান্ডামাইড নিঃসৃত হবে যা আপনার ভিতর সুখী এক অনুভূতি এনে দেবে। প্রতিদিন অন্তত ১৫-৩০ মিনিট
ব্যায়ামের চেষ্টা করুন।
৫/ সুগন্ধী/এরোমাথেরাপি নিনঃ
সুন্দর গন্ধ মন ভালো করার একটি ভাল নিয়ামক। অনেকেই মনে করেন, শুধুমাত্র রিলাক্সেশানের জন্য এরোমাথেরাপি ব্যবহার করা হয়।
আসলে না, বিষণ্ণতা কাটানোর জন্যও এর ব্যবহার যথেচ্ছ। বাজারে খুঁজলে বার্গামোট, জেরানিয়াম, নেরোলি, জেসমিন ইত্যাদি তেল পাওয়া যাবে। এগুলোকে কূপিতে ভরে জ্বালিয়ে ঘরে রাখতে পারেন। অথবা, এইসব সুগন্ধযুক্ত মোমবাতিও বাজারে পাওয়া যায়। ঘরে জ্বেলে রাখতে পারেন।
৬/ ভয়কে জয় করুনঃ
জীবনের হাসিখুশির জন্য এনডরফিনের নিঃসরণ অত্যন্ত জরুরি। এর প্রবৃদ্ধি এবং আপনার আত্মবিশ্বাসের সম্প্রসারণের জন্য এমন একটি
কাজের উদ্যোগ নিন, যা আপনি অনেকদিন ধরে করবেন করবেন বলে ভেবে আসছেন, কিন্তু সাহসের অভাবে করতে পারছেন না। হতে পারে সেটাঃ প্রিয় মানুষটাকে ভালবাসার কথা জানিয়ে দেয়া, জিমে ভর্তি হওয়া, দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া।চাকরির জন্য এপ্লাই করা ইত্যাদি। আপনার মধ্যে লুক্কায়িত ভীতিটাকে জয় করুন রোমাঞ্চ দিয়ে। দেখবেন, আপনার অজান্তেই খুশি খুশি লাগবে।
৭/ কথা বলুনঃ
আপনার বিষণ্ণতা যদি যথেষ্ট খারাপ পর্যায়ে চলে যায়, তবে আপনি কারো সাথে কথা বলুন। মনে রাখবেন, মানুষ সামাজিক জীব, এবং কখনোই আমরা একা নই। কাছের বন্ধু/মা-বাবা/ভাই-বোন/প্রেমিক/প্রেমিকা/স্বামী/স্ত্রী অথবা আপনার চিকিৎসকের সাথেই আপনার কষ্ট শেয়ার করুন। সহযোগিতা চাওয়ার মাঝে লজ্জার কিছু নেই। এটা সবসময় আমাদের মনে রাখতে হবে।
৮/ আপনার পছন্দের কাজগুলো নিয়মিত করুনঃ
একেকটি মানুষের একেকরকম কাজ পছন্দ। কেউ বিছানায় আধশোয়া হয়ে কফির মগ হাতে গল্পের বই পড়তে ভালবাসে, কেউ ভালবাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে, কেউ ভালবাসে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতের বেলা গান শুনতে… ইত্যাদি। নিজের পছন্দের কাজটি প্রতিদিন করার চেষ্টা করুন। নিজের যত্ন নিন।
৯/ মানুষের জন্য কিছু করুনঃ
সবসময় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকাটাও কিন্তু সমাজে বসবাসকারী জীবের বৈশিষ্ট্য নয়। আপনার থেকেও কষ্টে হয়তো অনেক মানুষ আছে। তাদের কথা মাথায় আনুন। আফ্রিকাতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুরা মারা যাচ্ছে। ঠাণ্ডায় উত্তর বঙ্গের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, শিক্ষার অভাবে পথশিশুরা ফুল বিক্রি করছে। অথচ, সকল রকম সুবিধা পেয়েও আপনি কেন ওদের থেকে নিজেকে বেশি অসুখী ভাববেন? ওদের কথা ভাবুন। ওদের জন্য স্বার্থহীনভাবে কিছু করার চেষ্টা করুন। কিছু করতে পারলে দেখবেন, আপনার ভালো লাগছে।
১০/ জীবনের লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করুনঃ
সবার জীবনেই কিছু লক্ষ্য থাকে। হতে পারে সেটা শরীর ফিট করা, একটা ড্রীমজবে জয়েন করা, কোরমা-পোলাও রান্না শেখা ইত্যাদি। সম্ভব হোক বা না হোক, সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যাত্রা শুরু করার চেষ্টা করুন। মনোযোগ এমন একদিকে নিয়ে যান, যাতে আপনার বিষণ্ণতার দিকে মনোযোগ দেবার কথা আপনার মাথাতেই আর না থাকে। চেষ্টা করতে থাকুন, দেখবেন, জীবন অনেক সুন্দর, আরও অনেকদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করবে তখন। ভবিষ্যতের চিন্তাই হবে তখন আপনার চিন্তাজগতের ফসল
Tuesday, February 5, 2013
Audience Summery from January-2013 to Feb.05,2013
Pageviews by Browsers
Pageviews by Operating Systems
|
ইন্টারনেট স্পীড হ্যাক করুন খুব সহজেই...
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম এই পেইজের পাঠক ভায়েরা কেমন আছেন? আসা করি ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি আজকে আপনাদের জন্য এক মজার টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা হেডিং দেখে বুঝে গেছেন নিশ্চয়, হাঁ আজ অবশ্যই আপনারা ইন্টারনেট স্পীড হ্যাক করতে পারবেন খুব সহজ জটিল কিছু নেই সবাই একবার দেখলেই পারবেন ....
You can Hack Your internet speed don't worry
পদ্ধতি:-১
প্রথম ধাপ:-
পদ্ধতি:-১
প্রথম ধাপ:-
প্রথমে এই সফটওয়ারটা ডাউনলোড করে নিন তার পর এটি অন করুন তারপর Connection Speed 20Mbps করা থাকে এটাকে 100+Mbps পরিবর্তন করুন তারপর নিচে Custom এ ক্লিক করে Apply changes এ ক্লিক করুন করুন তারপর পর OK করুন
দ্বিতীয় ধাপ:-
এর পর আবার OK করুন এবং পিসি রিস্টার্ট চাইবে Yes এ ক্লিক করুন..
আপনার কাজ শেষ এইবার পিসি রিস্টার্ট হওয়ার কানেক্ট নেট করুন এবং মজা নিন মজা আমার স্পিড প্রুপ নিছে ছবি দিলাম…… আমার ইন্টারনেট স্পীড ছিল 19 kbps করে এখন দেখেন কত.....
উপরের প্রসেসটি দিয়ে যদি ইস্পীড না বাড়ে তাহলে নিচের থিমটি অ্যাপলাই করে পূনরায় আগের মত পর পর দুইবার OK করেYes এ ক্লিক করুন ....
মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
Windows Xp ইউজারদের জন্য মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
উপরের প্রসেসটি দিয়ে যদি ইস্পীড না বাড়ে তাহলে নিচের থিমটি অ্যাপলাই করে পূনরায় আগের মত পর পর দুইবার OK করেYes এ ক্লিক করুন ....
পদ্ধতি:-২
ইন্টারনেট হ্যাকিং এর আরেকটি সফটওয়ার নিচে সেয়ার করছি
সফটওয়ারটির নাম Internet_Speed_Hack_V6.1
মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক
এর পর IDM অপেন করে Download Menu - Options এ গিয়ে Connection থেকে Connection type/Speed -Other করে দিব এবং bps- 999999999 করে Default Max.Conn.Number -16 করে Ok করবপারলে এই সেটিংটা চেইঞ্জ করে নিবেন...
প্রথমে My computer এর উপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Manage এ যান Port(COM&Ltp) থেকে HUAW Mobile connect-3G Application Interface দুইটি অপশন আছে তার প্রথমটি কিংবা দুইটি পরিবর্তন করতে হবে (সাধারণত প্রায় পিসিতে প্রথমটিতে পোর্ট সেটিং অপশন ঠিক থাকে অন্যটি ডিজএবল করা থাকে তাই আমি প্রথমটির কথা বলছি আমার পিসিতে দুইটিতে পরিবর্তন করেছি আপনারা চাইলে দুইটি পরিবর্তন করতে পারেন) প্রথমটিতের উপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Properties থেকে Port setting এ গিয়ে Bit per second সর্বোচ্চ করে দিন অর্থাৎ 128000 করে দিন Ok .করুন কাজ হয় কিনা দেখুন ..
Subscribe to:
Posts (Atom)